সংক্ষিপ্ত

সেনা সূত্রের খবর রবিবার রাতে পীর পঞ্জাল উপত্যকার সুরনকোট শাহাদ্রা বেল্টে চিরুনি তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। গোপন সূত্রের খবর পেয়েই এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল।

সোমবার ১২ ঘণ্টার মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের (jammu and kashmir) বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী (Indian Army) ও আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের (Terrorist) মধ্যে পৃথক চারটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পাঁচ ভারতীয় সেনা জওয়ান ও দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় জওয়ানরা হলেন, নায়েক  মনদীপ সিং, নায়েক সুবেদার জসবিন্দর সিং, সিপাহী বৈশাখ এইচ, সিপাহী সরোজ সিং ও সিপাহী গজ্জন সিং। সেনা সূত্রের খবর রাতেও  জঙ্গিদের সঙ্গে এনকাউন্টার চলছে ভারতীয় বাহিনীর। 

সেনা সূত্রের খবর রবিবার রাতে পীর পঞ্জাল উপত্যকার সুরনকোট শাহাদ্রা বেল্টে চিরুনি তল্লাশি অভিযান শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। গোপন সূত্রের খবর পেয়েই এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছিল। সোমবার সকালে এই এলাকায় আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিরা ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। শুরু হয় গুলির যুদ্ধ। 

অন্যদিকে সোমবার পুঞ্চের সরঙ্গোটে একটি গ্রাম ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। সেই সময় জঙ্গিদের হামলায় পাঁচ ভরতীয় জওয়ার গুরুতর হয়। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জম্মুর সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেটন্যান্ট কর্নেল দেবেন্দ্র আনন্দ এই খবর দিয়েছেন। সেনা বাহিনী জানিয়েছে, প্রাথমিক সংঘর্ষের পর সন্ত্রাসবাদীরা রাজৌরি জেলার ভাঙ্গাই গ্রামে পালিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনও এনকাউন্টার চলছে। 

সেনা সূত্রের খবর তিন থেকে চার জন জঙ্গি রয়েছে। সম্ভবত তারা ঘন জঙ্গলে এখনও আত্মগোপন করে রয়েছে। এদিনের এনকাউন্টারে এখনও পর্যন্ত দুই জঙ্গির নিহত হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। দুই জঙ্গি চলতি সপ্তাহে স্থানীয় বাসিন্দাদের হত্যার ঘটনায় যুক্ত ছিল বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় সেনা বাহিনী এখনও পর্যন্ত এনকাউন্টার নিয়ে তেমনভাবে মুখ খুলতে নারাজ। সূত্রের খবর জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ান হয়েছে টহলদারী।

আফগানিস্তা তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পরই কাশ্মীরসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জঙ্গি হামলা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছি। সেইমত সেনা বাহিনীও নিরাপত্তা বাডডিয়েছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি অনুপ্রবেশ হয়েছিল আগে থেকেই। বর্তমানে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ বেড়েছে পরপর সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরাও।  জঙ্গিদের আটকাতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ভারত।