সংক্ষিপ্ত
- উপত্যকার জঙ্গিরা ব্যবহার করছে বডি ক্যামেরা
- রেকর্ড করা হচ্ছে হামলার পুরো ঘটনা
- হামলাকে মহিমান্বিত করতে এই উদ্যোগ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ
উপত্যকার জঙ্গিরা নতুন ছক কষেছে। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিদের মূল উদ্যোগই হল নিজেদের হামলাকে মহিমান্বিত করে ভূস্বর্গের বাসিন্দাদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া। আর সেই কাজে জঙ্গিদের সাহায্য করেছে বডি ক্যামেরা। জঙ্গিদের শরীরে লাগানো থাকছে বডি ক্যামেরা। তাতেই রেকর্ড করা হচ্ছে পুরো হামলার ঘটনা। পুরো ঘটনার রেকর্ডিং যেমন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তেমনই হামলার ঘটনার ভিডিও রেকডিং সম্পাদনা করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আর সেখানে গানের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠেনর সদ্যদের নাম দেওয়া হচ্ছে পাশাপাশি গোটা ঘটনাটিকে মহৎ একটি কাজ হিসেবেও বর্ণনা করা হয়েছে।
গত ১৭ অগাস্ট বারামুল্লায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল একদল সন্ত্রাসবাদী। তারা চেকপোস্ট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। সেদিনের সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে দুজনের দেহ থেকে উদ্ধার হয়েছে বডি ক্যামেরা। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এই ঘটনা সোশ্যায় মিডিয়া বার্তা দিয়ে জানিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলার ঘটনা মহিমান্বিত করে দেখানোর উদ্দেশ্যেই তা রেকর্ড করা হয়েছে। কিন্তু জঙ্গিরা তা করতে সক্ষম হয়নি বলেই দাবি করেছে উপত্যকার পুলিশ। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে সংগঠেনের তিন সদস্যকে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনী যাথাযোগ্য জবাব দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানান গেছে জঙ্গিদের দেহ থেকে উদ্ধার হওয়া বডি ক্যামেরায় দেখা গেছে কী করে তারা হামলা চালাচ্ছে। কোথা থেকে নিশানা করতে একসঙ্গে অনেক জওয়ানকে হত্যা করা যাবে। আর এডিট করা ৫ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে দুই সিআরপিএফ জওয়ানের মাথায় গুলি করার দৃশ্যও।
মহামারি বাধা হয়ে দাঁড়াতে চলেছে নাগরিকত্বেও, ভারতে ফিরতে মরিয়া পাকিস্তানের হিন্দুরা ..
কাশ্মীর পুলিশের দাবি স্থানীয় যুবকদের আকর্ষনীয় করতেই এই জাতীয় ঘটনার রেকর্ড করার হচ্ছিল। হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষণ করতে যাতে নতুন সন্ত্রাসবাদীদের সুবিধে হয় তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ দাবি করছে বর্তমানে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়াতে মরিয়া বেশ কয়েকটি সংগঠন। আর সে কারণেই তাদের নিশানায় কাশ্মিরী যুবকরা। বারামুল্লার হামলার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফন্ট নামে নতুন এক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর। কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদী হামলাকে দেশের আন্দোলন হিসেবে তুলে ধরতেও উদ্যোগ নিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা।