সংক্ষিপ্ত
ছোট শিশুদের দেখাতে বলা হয় ভূত এসে ঘাড় মটকে দেবে
এবার ছয় বছরের এক শিশুর ঘাড় মটকে দিল তার বাবা-ই
ছেলের কান্না থামাতেই নাকি এই হত্যাকাণ্ড
বিহারের সুপল জেলার চাঞ্চল্যকর ঘটনা
ছোট শিশুদের ঘুম পাড়াতে বাবা-মা অনেকসময় ভূত-প্রেতের ভয় দেখান। বলেন, ভূত এসে ঘাড় মটকে দেবে। এবার আর ভূত-প্রেত নয় ছয় বছরের এক শিশুর ঘাড় মটকে তাকে মেরে ফেলল তার বাবা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সুপল জেলার লালমনিয়া নামে এক গ্রামে। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মাদকাসক্ত বলে অভিযোগ। ছেলের কান্নায় বিরক্ত হয়েই তাকে হত্যা করে সে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্তের নাম পিন্টু দাস। পারিবারিক কলহের জেরে দিন চারেক আগেই তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল। বুধবার দুই ছেলে অমিত (৬) এবং সানিত (৪) এবং ৮ বছরের মেয়ে নন্দিনী পিন্টুর সঙ্গেই ঘুমিয়েছিল। ভোরে উঠে মা-কে না পেয়ে বাবার উপর রাগ করে অমিত কাঁদতে শুরু করে। ছেলের কান্নায় ঘুম ভেঙে গিয়েছিল পিন্টুর। প্রথমে অমিতকে সে শান্ত করার চেষ্টা করে। না শোনায় ছেলের ঘাড়ই মটকে দেয় পিন্টু, এমনটাই জানিয়েছে তার মেয়ে নন্দিনী।
নন্দিনী জানিয়েছে এমনকী তাকে এবং সানিতকেও হত্যা করার চেষ্টা করেছিল পিন্টু, কিন্তু ৪ বছরের ভাইকে নিয়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। তারপর সোজা ঠাকুমার মৈরানা দেবীর কাছে গিয়ে সবটা খুলে বলেছিল। তিনিই পুলিশের কাছে নিজের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, বিপদ বুঝে পিন্টু পালিয়েছিল। পরে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ সিপাহী চক নামে এক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবারই তাকে ম্যাজিস্ট্রেট বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
নন্দিনীর অভিযোগে তার পুত্র খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হলেও, পুলিশ জানিয়েছে অমিতের দেহে শ্বাসরোধ করার মতো কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দেহটির ময়নাতদন্তের জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।