সংক্ষিপ্ত
- জেএনইউ-তে ছাত্র হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন ঐশী ঘোষ
- বাম ছাত্রনেত্রীর ওপর হামলার পিছনে এবিভিপি থাকার অভিযোগ
- যদিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঐশীর ভিডিয়ো ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক
- গেরুয়াপন্থীদের দাবি, জেএনইউ-তে মুখোশ পরা ছাত্রদের সঙ্গেই ছিলেন ঐশী
জেএনইউ-তে ছাত্র হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন ঐশী ঘোষ। বাম ছাত্রনেত্রীর ওপর হামলার পিছনে এবিভিপি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঐশীর একটি ভিডিয়ো ঘিরে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। গেরুয়াপন্থীদের দাবি, জেএনইউ-তে মুখোশ পরা ছাত্রদের সঙ্গেই ছিলেন ঐশী।
Watch: @JNUSUofficial president Aishee Ghosh is seen with masked men inside JNU. pic.twitter.com/ok2jxiEHWU
— Piyush Mishra (@Piyush_mi) January 6, 2020
রবিবার ছাত্র সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে ওঠে জেএনইউ। এবিভিপি-র গুন্ডারা হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাম ছাত্ররা। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ। রক্তাক্ত অবস্থায় বাম ছাত্র নেত্রী জানান, সন্ধেবেলায় এবিভিপি-র গুন্ডারা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের হস্টেলে ঢুকে তাঁর ওপর হামলা চালায়। অভিযোগ, এ দিন সন্ধ্যার পর আচমকাই জেএনইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে লাঠি, ব্যাট নিয়ে হামলা চালায় বহিরাগতরা। ঐশীর পাশাপাশি গুরুতর ভাবে আহত হন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। যার জেরে এইএমসের ইনটেনসিভ কেয়ারে ভর্তি করা হয় তাদের।
যদিও টুইটারে গেরুয়াপন্থীরা দাবি করেছেন, খোদ মুখোশধারীদের সঙ্গে ছিলেন ঐশী। প্রমাণ হিসাবে সোশ্য়াল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ঐশীর মতো দেখতে কেউ মুখ ঢাকাদের সঙ্গে কোথাও যাচ্ছে। হামলা রাতে হলেও দিনের আলোতেই তোলা হয়েছে এই ভিডিয়ো। এবিভিপি-র তরফে দাবি করা হয়েছে, বাম ছাত্র ও নকশালপন্থীরা ক্যাম্পাসে ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়। সোশ্য়াল মিডিয়ায় এই দাবি করেন জেএনইউ-এ এবিভিপির সভাপতি দুর্গেশ কুমার।
JNUSU president Aishe Ghosh injured after clashes reported from JNU over hostel fee hike and registration boycott. pic.twitter.com/9SWu2qNtVz
— Kainat Sarfaraz. (@kainisms) January 5, 2020
এবিভিপি-র দাবি, রবিবার সন্ধেয় জেএনইউ-এর বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারাই তাদের ওপর হামলা করে। যাতে তাদের ২৫ জন সদস্য গুরুতর ভাবে আহত। ১১ জন নিখোঁজ। এদের মধ্য়ে অনেকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি। জেএনইউ-এ এবিভিপির সভাপতি দুর্গেশ কুমার জানান, এসএফআই, আইসা, ডিএসএফ-এর পড়ুয়ারা এবিভিপি-র পড়ুয়াদের ওপর হামলা করে। কমিউনিস্ট গুন্ডারা জেএনইউ-এর পড়ুয়াদের উপর এবং এবিভিপির উপর আক্রমণ চালিয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ইউনিভার্সিটির ক্ষতি করেছে তারা। জওহরলাল নেহরু ইউনিভারসিটি এখন নকশালদের দখলে।