সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অমিত শাহ বলেন, দিনটি দেশের সকল মানুষের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। '১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল।'

 

আবারও জরুরি অবস্থা নিয়ে কঠোর অবস্থান নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন এবার ২৫ জুন অর্থাৎ জরুরি অবস্থা জারির দিনটিকে 'সংবিধান হত্যা দিবস' হিসেবে পালন করা হবে। ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে অমিত শাহ বলেন, দিনটি দেশের সকল মানুষের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। '১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার অমানবিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছিল।' অমিত শাহ আরও বলেছেন, ২৫ জুন ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বৈরাচারী মানসিকতার নির্লজ্জ প্রদর্শন ছিল জরুরি অবস্থা। তিনি জরুরি অবস্থা জারি করে দেশের আত্মাকে গলা টিপে হত্যা করেছিলেন। কোনও দোষ ছাড়াই লক্ষ লক্ষ মানুষকে কারাহারে আটকে রাখা হয়েছিল। মিডিয়ার কণ্ঠস্বর রোধ করা হয়েছিল। সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা স্মরণ করে ভারত সরকার এবার থেকে ২৫ জুন দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

 

যদিও বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই ঘোষণার পিছনে রাজনীতি দেখছে। বিরোধীদের উত্থান বিশেষ করে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর উত্থানকে স্তব্ধ করতেই কেন্দ্রীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। বিরোধীদের কথায় কংগ্রেসকে চাপে রাখতেই পুরনো দিনের জরুরি অবস্থাকে ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি সরকার। যদিও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস বা বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে এই নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।

যদিও প্রথম থেকেই বিজেপি জরুরি অবস্থা নিয়ে তুলোধনা করে কংগ্রেসের। ক্ষমতায় আসার পরেও জরুরি অবস্থাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পরিণত করেছে। যা নিয়ে কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়াতেই এবার এই চরম পদক্ষেপ নিল- তেমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।