সংক্ষিপ্ত
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন মনোনয়ন পেশ করেন কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কিছুটা অবাক করার মত। ১৪১৫ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক তিনি।
কর্ণাটকের কংগ্রেস প্রদেশ কমিটির সভাপতি ডিকে শিবকুমার। গান্ধী পরিবারের অত্যান্ত ঘনিষ্ট। কর্ণাটকের রাজনীতিতে তিনি গত বিধানসভা নির্বাচনে কিংমেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। সোমবার নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় জানিয়েছেন তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৪১৫ কোটি। এখানেই শেষ নয়। সমানতালে ধনী তাঁর স্ত্রীও। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫৩.৩ কোটি টাকা। কনকপুরা আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার সমই এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার আরও জানিয়েছেন, তাঁদের অবিভত্ত পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ ৬১ কোটি টাকা। শিবকুমারও আরও দেখিয়েছেন, তাঁর ২২৬ কোটি টাকার ঋণ ক রয়েছে। স্ত্রীর নামে লোন করেছেন ৩৪ কোটি টাকার। পরিবারের আয়ের মূল উৎস হিসেবে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, কৃষিকাজ, বাড়ি বা জমি ভাড়া দিয়ে আয় হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানিতে তাঁর প্রচুর শেয়ার রয়েছে। ব্যবসা থেকেও আয়ের হয়।
পরিবারের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে ডিকে শিবকুমার নির্বাচনী হলফনামায় আরও তথ্য দিয়েছেন। তা হল, সোনাদানা রয়েছে তাঁর। রয়েছে একটি ঘড়ি।
ডিকে শিবকুমারের নিজে ২৪৪.৯৩ কোটি টাকার মালিক। যেখানে তাঁর স্ত্রী মালিক ২০.৩ কোটি টাকার। ছেলে আকাশ ১২.৯৯ কোটি টাকার মালিক। তাঁদের গোটা পরিবারের সম্পত্তি অনুমানিক ১.৪১৪ কোটি টাকা। ছেলের অধীনে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৬৬ কোটি টাকার।
ডিকে শিবকুমারের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণে ৯৭০ কোটি টাকা। যারমধ্যে স্ত্রী নামে রয়েছে ১১৩.৩৮ কোটি টাকা। ছেলের নামে রয়েছে ৫৪.৩৩ কোটি টাকা।
সোনাদানার হিসেবেও পিছিয়ে নেই ডিকে শিবকুমার। তাদের পরিবারের ২.১৮৪ কিলোগ্রাম সোনা রয়েছে। রুপোর পরিমাণ ১২.৬ কিলোগ্রাম। সোনার গয়নার পরিমাণ ১.০৬৬ কেজি। ৩২৪ গ্রাম হীরা রয়েছে। ডিকের নামে রয়েছে ২৪ গ্রাম রুবি। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৯৫ গ্রাম হিরে, ৮৭ গ্রাম রুপি। যৌথভাবে তাঁরা ২৬০০ কেজি সোনা আর ২০ কেজি রুপোর মালিক।
তাঁদের মেয়ের কাছে রয়েছে ১০ কেজি রুপো, ১ কেজি সোনা। ছেলের নামে সোনা রয়েছে ৬৭৫ গ্রাম।
কংগ্রেস ম্যান ডিকে শিবকুমার তাঁর বাার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১৪.২৪ কোটি টাকা। যেখানে স্ত্রীর মোট আয় ১.৯ কোটি টাকা। তবে কর্ণাটক হাইকোর্টে ডিকের বিরুদ্ধে অসম সম্পত্তির অভিযোগে মামলা রয়েছে। তবে একটি পিটিশনের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ২০২০ সালে শিবকুমারের বিরুদ্ধে একটি পুলিশি রিপোর্ট দায়ের করা হয়। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ২০১৩- ১৮এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে।