সংক্ষিপ্ত

কর্ণাটকের ভোট গণনা চলছে। তবে অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস। পিছেনে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে।

 

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পেয়ে চলেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সরকার গঠনের আশা প্রায় ত্যাগ করেছে বিজেপি। কারণ ভোট যুদ্ধে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস শিবিয়ে যখন উন্মাদনা তখন কিছুটা হতাশার সুর বিজেপির শিবিরে। তবে এখন প্রায় এক ঘরে অবস্থা এইচডি দেবেগৌড়ার জনতা দল সেকুলারের। কারণ যেভাবে কংগ্রেস এগিয়ে যাচ্ছে তাতে নিরঙ্কুশ সংখ্য়াগরিষ্ঠতা তাদের দখলে থাকবে। আসুন এক নজরে দেখেনি কর্ণাটকের ভোট ছবি।

১. কর্ণাটক নির্বাচনে বিজেপির নেতা কর্মী ও প্রধানমন্ত্রী অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও তেমন কোনও ছাপ জনতার মনে তৈরি করতে পারেনি। বলেছেন বিজেপি নেতা তথা কর্ণাটক মুখমন্ত্রী বাসবরাজ বোমাই। তিনি আরও বলেছেন, পুরো ফলাফল প্রকাশের পরেই তা বিষদে বিশ্লেষণ করা হবে। এই বছর থেকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিও কর্ণাটক বিজেপি শুরু করে দেবে বলে জানিয়েছেন।

২. প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া কংগ্রেসের এই সাফল্যের জন্য পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন দলের নেতা আর কর্মীদের। তিনি বলেছেন ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ফলই কর্ণাটকের সাফল্য। আগামী দিনে কর্ণাটকের উন্নয়নের জন্যই কাজ করবে কংগ্রেস।

৩.জনতা দল সেকুলার নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী জানিয়েছেন, তিনি কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তাঁরা ছোট দল। তবে দলের নীতি মনে ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাজ্যের উন্নয়নে তিনি ও তাঁর দল সামিল হবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, বুথ ফেরত সমীক্ষার পরই কংগ্রেস ও বিজেপি দুটি দলই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। জেডিএস ২২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

৪. কর্ণাটকের সাফল্য আবারও রাহুল গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি উস্কে দিয়েছে দলের মধ্যে। কর্ণাটক জল নিঃসন্দেহে রাহুল গান্ধীর কাছে একটি বড় সাফল্য। দলের ভাবমূর্তি যে ভারত জোড়ো যাত্রার মাধ্যমে বদলেছে যা আবারও পরিষ্কার হল কর্ণাটকের জনতার রায়ে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন নেতা সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন এই জলই রাহুল গান্ধীর জন্য ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর দরজা খুলবে।

৫. কর্ণাটক নির্বাচনের ফল প্রকাশের মধ্যেই ঘর গোছাতে ব্যস্ত কংগ্রেস। কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, দলের সব নবনির্বাচিত বিধায়কদের শনিবার সন্ধ্যের মধ্যেই বেঙ্গালুরুতে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৬. কর্ণাটকে কংগ্রেস তাকিয়ে রয়েছে দিল্লির দিকে। কারণ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, হাইকমান্ড পর্যবেক্ষক পাঠালে তবেই অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। খাড়গে আরও বলেছেন, রাজ্যের জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। নতুন সরকার রাজ্যের মানুষের আশা পুরণ করার চেষ্টা করবে।

৭. কর্ণাটক নির্বাচনের ফলাফল কংগ্রেস ও বিজেপির কাছে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ চলতি বছরই আরও তিন রাজ্যে - রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন। একমাত্র মধ্যপ্রদেশেরই বিজেপির সরকার। বাকি দুটি রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার। তাই কর্ণাটক কংগ্রেসকে অক্সিজেন যোগাবে বলেও মনে করছে দল। পাল্টা বিজেপি বাকি তিন রাজ্যে নিজের শক্তিপ্রদর্শনে ঝাঁপাতে পারবে।

৮. কর্ণাটকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ওপর ভরসা করেছিল। দুর্নীতির অভিযোগ ছিলই। কিন্তু বিজেপির আশা ছিল মোদী ফ্যাক্টর কাজ করবে। কিন্তু তা এবার করেনি।

৯. বজরং দল নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কংগ্রেস নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পাল্টা মেরুকরণের রাজনীতি করেছিল। বিশেষজ্ঞদের কথায় বিজেপির মেরুকরণ কর্ণাটক মেনে নেয়নি।

১০. ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় এবার রেকর্ড ৭৩.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৩৬টি কেন্দ্রে গণনার কাজ হবে। শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কর্ণাটকের সরকরা গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩।