সংক্ষিপ্ত
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বাম নেতা কেটি জলিল জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি উপত্যকার পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চলগুলিকে সত্যিকারের স্বাধীন এলাকা বলে দাবি করেছেন।
কাশ্মীর সফরের পর কেরলের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম নেতার ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বাম নেতা কেটি জলিল জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি উপত্যকার পাকিস্তান অধিকৃত অঞ্চলগুলিকে সত্যিকারের স্বাধীন এলাকা বলে দাবি করেছেন। এখানেই শেষ নয়, এই এলাকাগুলির প্রশংসাও করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সিপিএম নেতা কেটি জলিল লিখেছেন উপত্যকার মানুষ হাঁসতে ভুলে গেছে। ভারতীয় সেনার জন্মু ও কাশ্মীরের সর্বত্র রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত কাশ্মীরের অংশটি আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত ছিল। কাশ্মীরের মুখ বর্তমানে যথেষ্ট উজ্জ্বল নয়। সর্বত্রই বন্দুক হাতে সৈন্যরা রয়েছে। পুবিশ সদস্যদের কাঁধেও বন্দুক রয়েছে। অর্মি গ্রিন কয়েক দশক ধরেই কাশ্মীরের রঙের সঙ্গে মিলে মিশে এক হয়ে গেছে। রাস্তার প্রতি একশো মিটার অন্তর সৈন্যদের দেখা পাওয়ায় যায়। একটা সময় সেখানে কোনও দুঃখ ছিল না। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি লেগেই থাকত। কিন্তু বর্তমানে কাশ্মীরের বাসিন্দারা হাসতে ভুলে গেছে। সেনার ট্রাক ও সেনা বাহিনীর উপস্থিতি কাশ্মীরের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অঙ্গ। সমস্ত রাজনৈতিক নেতারা বর্তমানে গৃহবন্দি। রাজনৈতিক কর্যকলাপ বন্ধ হয়ে গেছে। ভূস্বর্গের প্রতিটি কোনায় লুকিয়ে রয়েছে একটি উদাসীনতা।
কাশ্মীর আর আবেদনময়ী নয়। আপনি যেদিকেই তাকাবেন, সেদিকেই শুধু সেনাবাহিনী দেখতে পাবেন। কাশ্মীর তার হাসি ভুলে গেছে। রাজনীতিবিদরা গৃহবন্দী। নরেন্দ্র মোদী সরকার কাশ্মীরকে ভাগ করে দিয়েছে - কেটি জলিলের ফেসবুক পোস্টে এটাই লিখেছেন। কেটি জলিলের পোস্টে প্রতিক্রিয়ায় সন্দীপ ওয়ারিয়ার জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি যদি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান গ্রহণ কিনা।
সন্দীপ ওয়ারিয়ার আরও বলেছেন, সরকারিভাবে ভারত বলছে, কাশ্মীর দখল করেছে পাকিস্তান। ভারতীয় সংসদ একটি প্রস্তাব পাস করেছে যে এটি ভারতের একটি অংশ। কেটি জলিল পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করছেন। সব কিছুর দায়িত্বে পাকিস্তানিরা। ওয়ারিয়ার যোগ করেছেন যে পাকিস্তান কেবল কাশ্মীরের একটি অংশ দখল করেনি, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেই অংশটি নিয়েছিল এবং যদি ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের বাধা না দিত তবে তারা পুরো কাশ্মীর দখল করে নিত।
বিরোধী নেতারা কেরালার প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিন্দা করেছেন এবং কেটি জলিলের বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী ফেসবুক পোস্টের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন। বিজেপি কেরালার নেতা সন্দীপ ভারিয়ার বলেছেন, "আমি হতবাক বোধ করি না কারণ তিনি সিমির প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। তারপরে তিনি মুসলিম লীগে যোগ দিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে তিনি বাম দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাই এটি কোনও কেরলবাসীর জন্য অবাক হওয়ার বিষয় নয়। কেটি জালিল অবশ্যই পাকিস্তানকে সমর্থন করবে এবং সে বলবে 'আজাদ কাশ্মীর'।
"কিন্তু সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল যখন ভারতীয় সংসদ ১৯৯৪ সালে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল যে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি ফিরিয়ে আনা উচিত, তখন কেরল বিধানসভার একজন প্রতিনিধি এবং একজন প্রাক্তন মন্ত্রী কীভাবে এমন অবস্থান নিতে পারেন? ? তাকে UAPA এর অধীনে মামলা করা উচিত এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত, "ভারিয়ার যোগ করেছেন।
কেটি জালিল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার তিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন বা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বহুবারই পিনারাই বিজয়ন তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। তবে স্বপ্না সুরেশ ও সোনাকাণ্ডেও নাম জড়িয়ে পড়েছিল কেটি জালিলের।
আরও পড়ুনঃ
খ্রিস্টান মেয়েকে বিয়ে করতে চান তেজস্বী, এই কথা শুনে কী প্রতিক্রিয়া ছিল বাবা লালু প্রসাদ যাদবের
'সিবিআই-এর উচিৎ আমাদের বাড়িতে অফিস খোলা', কেন এমন বললেন তেজস্বী যাদব
অনুব্রতর গ্রেফতারিতে জল-বাতাসা-নকুলদানা 'দাওয়াই', সৌজন্য বাম-বিজেপি