সংক্ষিপ্ত
তেজস্বী যাদব বলেন, স্ত্রী, প্রেম আর বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, তাঁর আর রাজশ্রীর মধ্যে দারুন বোঝাপড়া রয়েছে। যা তাঁকে সংসার আর বাইরের কাজ সামলাতে সাহায্য় করে।
বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েই স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিহারের বাসিন্দাদের হার্টথ্রব তেজস্বী যাদব। তিনি আরও বলেন, তাঁর স্ত্রী রাচেল গার্ডিনহো ওরফে রাজশ্রী তাঁর যোগ্য সহধর্মীনী। গত বছর শেষের দিকে বিয়ের পিঁড়িতে বলেছিলেন লালু যাদবের ছেলে তেজস্বী। জাতীয় রাজধানীতে সাদামাটা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। তরুণ তেজস্বী কিন্তু কোভিড প্রথা মেনেই বিয়ের আসরের আয়োজন করেছিলেন। আর অনুষ্ঠানে কোনও জাঁকজমক ছিল না। যাইহোক বর্তমানে তেজস্বী নীতিশ কুমারের ডেপুটি। কিন্তু এদিন একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তেজস্বী স্ত্রী রাজশ্রী সম্পর্কে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন।
এনডিটিভির সঙ্গে কথা বলেছিলেন তেজস্বী যাদব। সেখানেই তেজস্বী যাদব বলেন, স্ত্রী, প্রেম আর বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, তাঁর আর রাজশ্রীর মধ্যে দারুন বোঝাপড়া রয়েছে। যা তাঁকে সংসার আর বাইরের কাজ সামলাতে সাহায্য় করে। রাজশ্রীর সঙ্গে বিয়ের আগে মেলামেশা করতেন তাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন নিজের প্রেমের কথা জানিয়েছিলেন বাবাকে। বলেছিলেন, 'আমি ওই মেয়েটির সঙ্গে ডেট করছি। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছেন। মেয়েটিকে আমি বিয়ে করতে চাই। ' তারপরই অবশ্য বলেছিলেন তাঁর প্রেমিকা খ্রিস্টান।
স্বভাবতই ছেলের মুখে এই কথা শুনে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল বাবা লালু প্রসাদ যাদবের- সেই প্রশ্নই উঠেছিল। সেই সময় তেজস্বী বলেন, তাঁর বাবা কোনও আপত্তি করেননি। উল্টে বলেছিলেন, 'সবই ঠিক আছে। এতে কোনও সমস্যা নেই।' তিনি বলেন তাঁর বাবা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বিহারে যেখানে জাতপাতের সমস্যা প্রবল সেখানেই সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে তাঁর বাবা তাঁর খ্রিস্টান মেয়েকে বিয়ে করার বিষয়ে কোনও আপত্তি জানাননি। তেজস্বীর কথায় লালুজি মনেপ্রাণে অনেকটাই আধুনিক মানুষ। তিনি আরও বলেন তাঁর বোনেরা বিয়ে করলেও কাউকে তিনি জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসাননি।
তেজস্বী এদিন বলেন তাঁর বাবা আর বিহার সম্পর্কে যে ধারনা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে তা ঠিক নয়। কারণ লালু প্রসাদ নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। তাঁর বোনেদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বোনের স্বার্থ সবার আগে দেখেন তাঁর বাবা। তেজস্বী আরও বলেছেন তাঁর স্ত্রীর নাম রাজশ্রী রেখেছেন তাঁর বাবা। বাবা আর তাঁর স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক অত্যান্ত মধুর।
তেজস্বী আরও বলেন বিয়েতে ধর্ম বা বর্ণ বিবেচনা না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে লালু প্রসাদের কাছে তাঁর মত জানতেও চেয়েছিলেন তিনি। তখন লালুজি তাঁকে বলেছিলেন, তিনি চান দুই পরিবারের সম্মত্তিতে যেন তেজস্বীদের বিয়ে হয়। কোনও বাধা যেন না আসে। তেজস্বী জানিয়েছেন তাঁদের বিয়েতে তাঁর বাবা ও মা ও দুই পরিবারের সদস্যরা যথেষ্ট খুশি। তবে তেজস্বী জানিয়েছেন তাঁর মামা সাধু যাদব তাঁদের বিয়েতে আপত্তি জানিয়ে ছিলেন। বলেছিলেন যাদব বংশের বাইরে তেজস্বীর বিয়েতে তাঁর মত নেই। কিন্তু তাঁকেই শাস্ত করেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব।
রাচেল ওরফে রাজশ্রী হরিয়ানার বাসিন্দা। অত্যান্ত লো প্রোফাইল মেনটেন করেন। তাঁর স্বামী উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর তেমন কোনও মন্তব্য করেননি।