সংক্ষিপ্ত

সোমবার আরিফ মহম্মদ খান একটি ভিডিও শেযার করেন, যেখানে ২০১৯ সালের হেনস্থার ঘটনা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন।  কুন্নুরে ভারতীয় হিস্ট্রি কংগ্রেসে রাজ্যসভার সাংসদের হেনস্থা করার  ভিডিও রয়েছে। সেই ব্যক্তি বর্তমানে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারের অফিসে রীতিমত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।

আবারও কেরল প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। সোমবার তিনি একটি ভিডিও শেযার করেন, যেখানে ২০১৯ সালের হেনস্থার ঘটনা রয়েছে বলেও দাবি করেছেন।  কুন্নুরে ভারতীয় হিস্ট্রি কংগ্রেসে রাজ্যসভার সাংসদের হেনস্থা করার  ভিডিও রয়েছে। সেই ব্যক্তি বর্তমানে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকারের অফিসে রীতিমত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। যিনি সেই সময় পুলিশকে তাদের দায়িত্ব পালনে ও গ্রেফতারিতে বাধা দিয়েছেন বলে ভিডিও ফুটেজে দাবি করা হয়েছে। 


ঘটনার কিছু ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন কেরলের রাজ্যপাল। তিনি আরও বলেছেন, সেই সময় এই ঘটনা নিয়ে জনসমক্ষে কথা না বলার জন্য তাঁকে ভয় দেখান হয়েছিল। একাধিকবার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল একটি ষড়যন্ত্রের অংশ। ডিভিওগুলি প্রকাশ করার গর্ভনর গভর্নর ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৪এর ধারা উদ্ধৃত করে বলেন, রাজ্যপালের ওপর যে কোনও আক্রমণ হলে অভিযুক্তকে সাতবছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এটি একটি জরিমানা ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

রাজ্যপাল আরও বলেছেন, এই জিনিসগুলি এমন একটি সময় ঘটেছে, যখন রাজ্যের মানুষদের কালো শার্ট পরার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা তেমনভাবে করেনি ও লোকজনকে তাঁদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দিয়েছিল। 


ভিডিওতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব কে কে রাগেশ পুলিশকে তাদের ছাড়তে বাধা দিচ্ছেন। সেই  অনুষ্ঠানের ভিডিও দেখানোর সময় তিনি বলেছিলেন। উল্লেখ্য, রাগেশ ২০১৯ সালে রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন যখন কান্নুরে ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের ভাষণের সময় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছিল। পরে রাগেশ কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন।


রাজ্যপাল আরও অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীরা বড় বড় প্ল্যাকার্ড নিয়ে এসেছিল। সেগুলি সেই ব্যক্তিরা একার উদ্যোগে তৈরি করেনি। তিনি আরও বলেন বিক্ষোভকারীরা এই রাজ্যের বাসিন্দা নয়। তারা জামিয়া বা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছিল। 

রাজ্যপাল আরও অভিযোগ করেন, রাগেশ মঞ্চ থেকে নেমে এসে তাঁর ভাষণ চলাকালীনই পুলিশকে থামিয়ে দেয়। যা নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের লেখা গণমাধ্যমের চিঠিগুলিও প্রকাশ করেছেন যাতে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিষয়ে কোনও সরকারী হস্তক্ষেপ করা হবে না।