সংক্ষিপ্ত
CPIM: শেষ পর্যন্ত সীতারাম ইয়েচুরির উত্তরসুরী খুঁজে পেল সিপিআই(এম)। লাল পার্টির ভরকেন্দ্র সুদূর উত্তর থেকে পৌঁছে গেল দক্ষিণে। কেরলের এমএ বেবি সিপিএম-এর নতুন জেনারেল সেক্রেটারি।
CPIM: শেষ পর্যন্ত সীতারাম ইয়েচুরির উত্তরসুরী খুঁজে পেল সিপিআই(এম)। লাল পার্টির ভরকেন্দ্র সুদূর উত্তর থেকে পৌঁছে গেল দক্ষিণে। কেরলের এমএ বেবি সিপিএম-এর নতুন জেনারেল সেক্রেটারি। মাদুরাইয়ের পার্টি কংগ্রেসে চূড়ান্ত হয়েছে এমএ বেবির নাম। যদিও দীর্ঘ দিন বাদে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিপিএম বেছে নিল পার্টির প্রধান।
শনিবারই ৭০ বছরে পা রেখেন এমএ বেবি। আগামী তিন বছর তাঁরই হাতে থাকছে সিপিএম পার্টির দায়িত্ব। ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিতেই তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। পরবর্তীকালে তিনি যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিএম -এর রাজ্যসভার সাংসদ। সেই সময় তিনি ছিলেন রাজ্যসভার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য। ২০১২ সাল থেকেই তিনি সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য ছিল। ১৯৫৪ সালে কেরলের কোল্লাম জেলায় জন্ম তাঁর।
কেরলের মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন বেবি। তিনি ২০০৬ থেকে ১১ সল পর্যন্ত জনশিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, চিড়িয়াখানা, চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-সহ একাধিক বিভাগ পরিচালনা করেছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। এমএ বেবি সিপিএম অন্য নেতাদের থেকে অনেকটাই আলাদ। তিনি কেবল দলীয় কর্মীদের নয়, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদেরও প্রিয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে সহজেই আলাপ আলোচনায় করতে পারেন। আগামী বছর কেরলে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এমএ বেবিকে সিপিএম প্রধান করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবার কেরল সিপিএম-এর চ্যালেঞ্জ - একদিকে বিজেপি অন্যদিকে কংগ্রেস।
সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুর পর থেকে সিপিএম-এর প্রধানের পদ ফাঁকা ছিল। কাজ চালাচ্ছিলেন প্রকাশ কারাত। এবার বয়সের কারণে নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়তে হল প্রকাশ ও বৃন্দা কারাতকে। নেতৃত্ব থেকে বাদ পড়লেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনিক সরকার। বাদ পড়লেন সূর্যকান্ত মিশ্র ও তামিলনাড়ুর জি রামকৃষ্ণ।
বাংলা থেকে পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে জায়গা পেলেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। ত্রিপুরা থেকে নতুন মুক জিতেন্দ্র চৌধুরী। রাজস্থান থেকে পলিটব্যুরোয় এলেন রাজস্থানের সিকারের সাংসদ অমরা রাম।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।