সংক্ষিপ্ত
- বন্যার জল নেমে যাচ্ছে কেরলে
- কিন্তু বন্যার ধ্বংসাবশেষে ঢেকে গিয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা
- ইদের আগের দিন মুসলিমদের জন্য মসজিদ পরিষ্কার করে দিলেন হিন্দুরা
- আর মুসলিমরা সাফাই করলেন রামমন্দির
ধীরে ধীরে বন্যার জল নামছে কেরলে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এবার ধ্বংসের হিসেব নিকেশ আর সেইসব সারিয়ে ওঠার পালা। তারমধ্য়েই সোমবার গোটা বিুশ্বের মতো ভারতের এই রাজ্যেও পালিত হচ্ছে ইদ-উল-আধা। তার আগের দিনই বন্যাধ্বস্ত কেরলে দেখা গেল সম্প্রীতির অনন্য ছবি।
ইদের দিন যাতে মুসলিম ভাইরা স্বচ্ছন্দে নামাজ পড়তে পারেন তার জন্য কান্নুর জেলায় উদ্য়োগি হলেন সন্তোষ ও কুমার নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তি। তাদের ধর্ম পরিচয় হিন্দু, কিন্তু তা ছাপিয়ে প্রকৃত মনুষ্যত্বের পরিচয় দিলেন তাঁরা। স্থানীয় এক নদীর জল ছাপিয়ে যাওয়ায়, বেশ কয়েকদিন ধরে কান্নুরের কুরুমাথুর জুমা মসজিদ ছিল জলের নিচে। রবিবার জল নামতেই স্থানীয় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবককে সঙ্গে নিয়ে সন্তোষ ও কুমার সেই মসজিদ সাফাইয়ের কাজ শুরু করে দেন। বন্যার ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে সেই সাফাইযের কাজ মোটেই সহজ নয়। তা সত্ত্বেও সন্ধার মধ্যেই তাঁরা মসজিদ চত্ত্বর আর সোমবার ভোরের আগেই নামাজের ঘর পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁরা।
একই রকম সম্প্রীতির ছবি দেখা গিয়েছে ওয়ানাড় জেলার সুলতান বাথেরি-র রাম মন্দিরেও। এখানে রবিবার জল নামতেই মন্দির পরিষ্কার করার কাজে নেমে পড়েন মুসলিম যুব লিগ - হোয়াইট গার্ডস'এর সদস্যরা। বিগ্রহ-সহ পুরো মন্দিরটিই প্রায় দুদিন ধরে বন্য়ার জলের ডুবে ছিল। রবিবার জল নামতে পুরো মন্দির চত্ত্বরটিই কাদা-ময়লায় ঢেকে যায়। হোয়াইট গার্ডস সকাল থেকে কাজ শুরু করে সন্ধার মধ্য়েই পুরো মন্দির সাফ সুতরো করে দিয়েছেন।
জাত ধর্মের ভেদাভেদ করে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি অনবিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক ঘৃণা রাজনীতির ঘটনায় বিশ্বের সামনে মাথা হেট হয়ে গিয়েছে ভারতের। সহনশীল দেশ হিসেবে ভারতের পরিচয় নষ্ট হতে বসেছে। তার মধ্য়ে প্রকৃতির রোষই যেন ফের সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি করে দিল।