- Home
- India News
- ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল নেপাল, দেখে নিন শেষ কয়েক বছরের কিছু ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার নজির
ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল নেপাল, দেখে নিন শেষ কয়েক বছরের কিছু ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার নজির
- FB
- TW
- Linkdin
২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি জাভা সাগরের উপর ভেঙে পড়েছিল বোয়িং ৭৩৭, শ্রীবিজয়া বিমান। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬২ জনের। এদের মধ্যে সাতজন শিশু ও তিনজন সদ্যজাতও ছিল। জানা যায় উড়ানের কিছুদিন আগেও বিমানটিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
২০২০ সালের ২২ মে দক্ষিণ পাকিস্তানের করাচি শহরের একটি আবাসিক এলাকায় 91 জন যাত্রী-সহ ভেঙে পড়ে এয়ারবাস A320 বিমান। ঘটনায় নহত হন ৯০ জনেরও বেশি মানুষ। জানা যায় ওই দুর্ঘটনায় মাত্র দু'জন যাত্রী বেঁচে ছিলেন।
একই বছরের ৮ জানুয়ারি আরও একটি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বিশ্ব। ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট PS752 ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে উড়ানের পরই ভেঙে পড়ে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৭৬ জনের।
২০১৯ সালের ১০ মার্চ ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স আদ্দিস আবাবা থেকে উড়ানের পরই বিকল হয়ে যায়। বিমানে থাকা ১৫৭ জনেরই মৃত্যু হয়েছিল ঘটনায়। ওই বিমানে ৩০টিরও বেশি দেশের বাসিন্দারা ছিল বলে জানা যাচ্ছে।
২০১৮ সালে মোট পাঁচটি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল বিশ্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ান যাত্রীবাহী বিমান মস্কোর ডোমোদেডোভো বিমানবন্দর থেকে ৭১ জন আরোহী নিয়ে ভেঙে পড়ে। একই মাসে মাত্র সাত দিনের মাথায় ১৮ ফেব্রুয়ারি ফের ইরানের জাগ্রোস পর্বতে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬৬ জনের। মাস খানেকের মাথায় ১২ মার্চ ২০১৮-এ ফের কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ৭১ জন যাত্রী-সহ ভেঙে পড়ে একটি বিমান। মাস খানেকের মধ্যেই ১১ এপ্রিল ফের একটি সামরিক বিমান আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সের কাছে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বিধ্বস্ত হয়। এরপর পরবর্তী বিমান দুর্ঘটনা ঘটে ১৮ মে। বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমান হাভানার হোসে মার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। ঘটনার ছ'মাসের মাথায় ২৯ অক্টোবর লায়ন এয়ার দ্বারা চালিত একটি বোয়িং 737 ম্যাক্স ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের পরপরই জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
২০১৭ সাল বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার ইতিহাসে সবচেয়ে নিরাপদ বছর। এই বছর কোনও যাত্রীবাহী জেট দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে তাঁর আগে ২০১৬ সালে ২৫ ডিসেম্বর একটি রাশিয়ান সামরিক Tu-154 জেট বিমান কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়, যার মধ্যে ৯২ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হয়। একই বছর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) বিমানটি দেশের উত্তরে বিকল হয়ে যায়। ঘটনায় নিহত হয় ৪৮ জন। একই বছর ২৮ নভেম্বর ব্রাজিলিয়ান ক্লাব চ্যাপেকোয়েন্সের ফুটবল দলকে বহনকারী বিমানটি জ্বালানি ফুরিয়ে যায় এবং কলম্বিয়ার মেডেলিনের কাছে বিধ্বস্ত হয়। এরপর ১৯ মে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ নিশ্চিত করেছেন যে প্যারিস এবং কায়রোর মধ্যে নিখোঁজ হওয়া ইজিপ্টএয়ারের একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়।
তারআগে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাশিয়ান এয়ারলাইন কোগালিমাভিয়া দ্বারা পরিচালিত একটি এয়ারবাস A321, শারম আল-শেখ থেকে উড্ডয়নের প্রায় ২২ মিনিট পরে মধ্য সিনাইয়ে বিধ্বস্ত হয়। একই বছরের ৩০ জুন ইন্দোনেশিয়ার হারকিউলিস C-130 সামরিক পরিবহন বিমান মেদানের একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। তার আগে ২৪ মার্চ জার্মানউইংস এয়ারবাস A320 বিমানটি বার্সেলোনা থেকে ডুসেলডর্ফ যাওয়ার ফ্লাইটে ডিগনের কাছে ফ্রেঞ্চ আল্পসে বিধ্বস্ত হয়।
এর আগে ২০১৪ সালে একই বছরে ৬টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী AirAsia QZ8501 জাভা সাগরে নিখোঁজ হয়। ২৪ জুলাই এয়ার আলজেরি AH5017 বুরকিনা ফাসো সীমান্তের কাছে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে মালির উপর দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। ২৩ জুলাই তাইওয়ানের ATR-72 বিমান একটি সংক্ষিপ্ত ফ্লাইটের সময় ঝড়ো সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে আটচল্লিশ জন মারা যায়। ১৭ জুলাই মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট MH17 পূর্ব ইউক্রেনের গ্র্যাবোভের কাছে বিধ্বস্ত হয়। সেই বছরই ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার সময় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের MH370 নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি বিমান চলাচলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল অনুসন্ধানের দিকে নিয়ে যায়। ১১ ফেব্রুয়ারি একটি সামরিক পরিবহন বিমান - একটি হারকিউলিস C-130 - 78 জন লোক নিয়ে উত্তর-পূর্ব আলজেরিয়ার একটি পাহাড়ী অংশে বিধ্বস্ত হয়।
২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তাতারস্তান এয়ারলাইন্সের বোয়িং 737 রাশিয়ার কাজানে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। একই বছর ১৬ অক্টোবর লাও এয়ারলাইন্স ATR 72-600 ল্যান্ড করার সময় মেকং নদীতে ডুবে গেলে প্রায় 10টি দেশের বিদেশী এবং লাওতিয়ান নাগরিক সহ 49 জন মারা যায়।
২০১২ সালের ৩ জুন ডানা এয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান প্রায় ১৫০ জন যাত্রী নিয়ে নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর লাগোসের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। একই বছর ২০ এপ্রিল কটি ভোজা এয়ার বোয়িং ৭৩৭ পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের প্রধান বিমানবন্দরের কাছে যাওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়, এতে ১২১ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু নিহত হয়।