সংক্ষিপ্ত

আইনজীবী মহেক মহেশ্বরী এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রথম জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়।

 

কৃষ্ণজন্মভূমি মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের পর এবার বড় ধাক্কা সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি বা জন্মস্থান অধিগ্রহণ ও ভগবান কৃষ্ণের উপাসনার জন্য হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারের নির্দেশ চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এই আবেদ আগেই এলাহাদাব হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল। তারপর মামলাকারীরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও মামলা খারিজ হয়ে যায়।

আইনজীবী মহেক মহেশ্বরী এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রথম জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের একটি আপিল দায়ের করেছিল। সেখানেও সেটি খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আপিলে বয়ান ছিস মথুরায় শাহী ইদগার মসজিদ স্থানটিকে ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ২০২৩ সালের ১২ অগাস্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই আবেদন খারিজ করেছিল।

আইনজীবী মহেশ্বরীর জনস্বার্থ মামলা এদিন আরও একবার প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উত্থাপিত ইস্যুতে বেশ কয়েকটি দেওয়ানী মামলা রয়েছে। যা ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তির জন্য বিচারাধীন রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট এদিন আদাশে বলেছে, 'জনস্বার্থ মামলা বা পিআইএল রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয়, কারণ এতে উত্থাপিত ইস্যুতে বেশ কয়েকটি দেওয়ানী মামলা ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তির জন্য মুলতুবি রয়েছে। আমাদের দয়া করে মামলার বহুবিধতা নেই। আপনি এটি একটি পিআইএল হিসেবে দায়ের করেছেন। কারণ এটি হাইকোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছিল।' এই মামলা এদিন উঠেছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। দুই বিচারপতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছেন।

মহেশ্বরী ২০২০ সালে জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছিলেন। নিজের আবেদনের সমর্থনে প্রচুর তথ্য, ইতিহাস বই, রেকর্ড দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে অংশে ইদগা রয়েছে সেখানেই একটা সময় শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তাই এই বিষয়ে আদালতের যথাযথ নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, এই স্থানে যে মসজিদ রয়েছে সেটি সঠিকভাবে তৈরি করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, জোরকরে জমি অধিগ্রহণ করে এটি তৈরি করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেছিলেন, ইসলামী আইনশাস্ত্র অনুযায়ী জোরপূর্বক অধিগ্রহণকৃত জমিতে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। অন্যদিকে, হিন্দু আইন এবং আইনশাস্ত্র অনুসারে, একটি মন্দির ধ্বংসস্তূপে থাকলেও মন্দির ছিল, মহেশ্বরী পিটিশনে দাবি করেছেন।