সংক্ষিপ্ত
সীমান্ত থেকে সেনা সরাতে রাজি চিন
কৃটনৈতিক বৈঠকের পর বিবৃতি জারি
চিন ও ভারত দুই দেশই বিবৃতি জারি করেছে
পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকায় মোতায়েন ছিল চিনা সেনা। যা নিয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছিল সীমান্ত উত্তাপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবারই সামরিক পর্যায়ের বৈঠকে বলে ভারত ও চিন। আর তাতে কিছুটা হলে সীমান্ত উত্তাপ কমবে বলেই আশা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানান হয়েছে প্রকত নিয়ন্ত্রণ সীমা রেখা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করেছে চিন। সহমত পোষণ করেছে ভারত। সূত্রের খবর খুব তাড়াতাড়ি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমা রেখে থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে সৈন্য।
সীমান্ত উত্তাপ কমাতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসুলেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন অন ইন্ডিয়া-চিন বর্ডার অ্যাফেয়ার্স বা ডাবলুএমসিসি-র ১৭ তম বৈঠক। আর এই বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন যুগ্ম সচিব (ইর্স্টানএশিয়া) নবীন শ্রীবাস্তব ও চিনের কূটনীতিক হং লিয়াং।
সীমান্ত উত্তাপ কমাতে এর আগেও দুই দেশ সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠক করেছিল। কিন্তু তারপরেই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখার ছবিটা ছিল অন্য। প্যাংগং ফোর ফিঙ্গার এলাকা, গোগরা পোট্রেলিং পয়েন্ট থেকে সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছিল চিন। একটি সূত্র বলছে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্যাংগং ও দোপসাং নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছিল। বিষয়টি উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংও।
এদিন বৈঠকের আগে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের রাস্তা পাওয়া যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হবে চিন। পর মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে উভয় পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমা রেখে থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার বিষয় সহমত হয়েছে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রক থেকেও ফ্রন্ট লাইন থেকে সেনা সরিয়ে নেওযার বিশয়ে আলোচনার অগ্রগতি স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে রীতিমত পরিষ্কার আলোচনা হয়েছে।