সংক্ষিপ্ত
তদন্তকারী আধিকারিক বিদ্যারাম দিবাকর গত সপ্তাহে সিজেএম-এর আদালতে আইপিসির ২৭৯, ৩৩৮ এবং ৩০৪এ ধারার বদলে ওয়ারেন্টে নতুন ধারা যোগ করার আবেদন করেন।
লখিমপুর খেরিতে(Lakhimpur Kheri Case) যে ঘটনা গোটা দেশকে নড়িয়ে দিয়েছিল, তা সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক (pre-planned conspiracy)। রিপোর্টে এমনই তথ্য দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল(Special Investigation Team) বা সিট(SIT)। এই ঘটনা নেগলিজেন্স বা অবহেলার কোনও ঘটনা নয় বলেও এদিন রিপোর্টে জানিয়েছে সিট। এছাড়াও ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নতুন ধারা দাখিল করার জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (CJM) কাছে একটি আবেদন জানানো হয়েছে সিটের পক্ষ থেকে, যাতে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাদের অপরাধ শাস্তিযোগ্য হয়।
SIT তদন্তকারী আধিকারিক বিদ্যারাম দিবাকর গত সপ্তাহে সিজেএম-এর আদালতে আইপিসির ২৭৯, ৩৩৮ এবং ৩০৪এ ধারার বদলে ওয়ারেন্টে নতুন ধারা যোগ করার আবেদন করেন। তার আবেদনে, তদন্তকারী আধিকারিক উল্লেখ করেছেন যে ঘটনাটি "সুপরিকল্পিত এবং একটি ইচ্ছাকৃত অপরাধ"।
তদন্তকারী অফিসার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা), ৩২৬(স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আঘাত করা), ৩৪ (একই উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি নিয়োজিত হওয়া) যুক্ত করার অনুরোধ করেছেন। সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হয়েছে ধারা ২৭৯ (তাড়াতাড়ি গাড়ি চালানো), ৩৩৮ (যিনি তাড়াহুড়ো করে বা অবহেলা করে কোনও কাজ করে কোনও ব্যক্তিকে গুরুতর আঘাত করেন) এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ এ(অবহেলায় মৃত্যু ঘটান)-এর মতো ধারাগুলিকে।
উত্তর প্রদেশের লাখিমপুর খেরি কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। কৃষকরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ডাকা অনুষ্ঠান বানচাল করে দেয়। তারপরই গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষককে হত্যা করা হয়। পাল্টা কৃষকরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়। কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ছেলে আশিস মিশ্রর। যদিও মন্ত্রী ও তাঁর ছেলে উভয়ই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এসআইটি এখনও পর্যন্ত আশিস মিশ্র, লভকুশ, আশিস পান্ডে, শেখর ভারতী, অঙ্কিত দাস, লতিফ, শিশুপাল, নন্দন সিং, সত্যম ত্রিপাঠি, সুমিত জয়সওয়াল, ধর্মেন্দ্র বানজারা, রিঙ্কু রানা এবং উল্লাস ত্রিবেদীকে গ্রেপ্তার করেছে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে। তারা লখিমপুর খেরি জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছে।
এদিকে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ আশিস মিশ্রের জামিনের আবেদনে পাল্টা হলফনামা দাখিল করার জন্য রাজ্য সরকারকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছে। মামলার শুনানির সময় অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল বিনোদ শাহী চলমান তদন্ত সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করেন। শাহী বলেন, এখনও বিপুল সংখ্যক সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা বাকি।