সংক্ষিপ্ত

লালু পুত্র তেজপ্রতাপের মুখে নারী উন্নয়নের কথা 
মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে লালুর জীবনদর্শনের কথা
বাবাই শিখিয়েছে মেয়েদের সম্মান করতে, বললেন তেজপ্রতাপ
লালু পুত্রের মুখে এমন কথায় হতবাক অনেকেই

রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে নারী অগ্রগতি নিয়ে সওয়াল করলেন লালু পুত্র তেজপ্রতাপ। তাঁর মুখে এমন কথা শুনে সকলেই অবাক। কারণ, এই নারী ইস্যুতেই বছর খানেক ধরে নিজের দলে প্রায় ব্রাত্য হতে বসেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালেই বিয়ে করেন তেজপ্রতাপ। কিন্তু, বিয়ের কয়েক মাস পরেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনে আদালতে মামলা করেন তিনি। কারণ, তাঁর কাছে তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে অনেক বেশি অগ্রসর মনে হয়েছিল। এমনকী তেজপ্রতাপের দাবিও ছিল, তিনি উত্তর মেরু তো তাঁর স্ত্রী দক্ষিণ মেরু। এহেন লালু পুত্রের মুখে নারী উন্নয়নের কথা শুনে সকলেই হতবাক। 

রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে লালু পুত্র বলেন, মেয়েদের উন্নতির জন্য খোদ মহিলাদেরই জীবনে এগিয়ে যাওয়াটা খুবই প্রয়োজন। তিনি এও বলেন তাঁর বাবা লালু প্রাসাদ যাদবই শিখিয়েছেন মেয়েদের উৎসাহিত করতে ও তাদের সম্মান করতে। তাঁর কথায় তাঁর বাবার দেখানো পথেই তিনি হাঁটছেন। তিনি বাবা-মায়েদের উদ্দশ্যে বলেন মেয়েদের এগিয়ে যেতে দিন। তাদের লেখা পড়া শেখাতে হবে। ঘরে বসিয়ে না রেখে মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার সাহস দিলে তবেই সমাজের উন্নতি সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন। তিনি এও বলেন যে, 'আমি সব অনুষ্ঠানে মেয়েদের সামনে দেখতে চাই, তারা যেন আমার সব অনুষ্ঠানে সামনে এসে বসে। আর আমি সেটাই দেখতে চাই। মেয়েদের এগিয়ে যেতে দিলেই সমাজের উন্নতি সম্ভব।'
এমনকী তিনি ভাষণ দিতে-দিতে থেমে যান মাঝখানে। এরপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যাক্তিকে সরে যেতেও বলেন। পরিস্কার বলে দেন, 'মহিলাদের এগোতে দিন আপনি পিছনে যান।' মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার কথা শোনা গেছে বাজেট পেশের সময়েও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামণ যিনি দেশের দ্বিতীয় মহিলা অর্থমন্ত্রী তিনি  চলতি বছরে বাজেট পেশের সময়ে বলেন মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। তিনি মেয়েদের উৎসাহিত
করে বলেন 'নারী তু নারায়ণী'। এছাড়াও বাজেটে এসেছে মেয়েদের বিভিন্ন সুবিধা, যা হয়ত মেয়েদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত  করার জন্যই। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়েদের জন্য কন্যাশ্রী, রুপশ্রী প্রকল্প
গুলির মত বেশ কিছু প্রকল্প চালু করেছিলেন। এতে উপকৃত হয়েছিল বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা। প্রধানমন্ত্রীর বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পটি ও মেয়েদের সমাজে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই। বহুদিন আগে 
স্বামী বিবেকানন্দো বলেছিলেন মেয়েদের এগিয়ে যেতে। তবেই সমাজের উন্নতি সম্ভব। এবার কি তাহলে সত্যি উন্নতি হতে চলেছে মেয়েদের অবস্থার। দেশের নেতা-নেত্রীদের এই উদ্যোগে আশাবাদি সব মেয়েরাই।