সংক্ষিপ্ত

সিপিএম-এর টুইটে চিনা নেতার কথা

আক্রমণ করতে দেরি করল না বিজেপি

কেরল-বাংলাকে কমিউনিস্টদের নিয়ে সতর্কতা

গেরুয়া শিবিরে কি আসবে লালদের ভোট

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন ক্রমে এগিয়ে আসছে। শুধু বঙ্গে নয়, আগামী কয়েক সপ্তাহ পরই বিধানসভা নির্বাচন হবে কেরল, পুদুচেরি, অসম, তামিলনাড়ুতেও। কেরলে বিজেপির সরাসরি লড়াই বামেদের বিরুদ্ধে। বাংলায় প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেস হলেও, বামেরা ভোট কাটলে বঙ্গের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন, বিজেপির অধরাই থেকে যেতে পারে। এই অবস্থায় শুক্রবার টুইট করে কেরল ও বাংলা - দুই রাজ্যের ভোটদাতাদেরই কমিউনিস্টদের সম্পর্কে সতর্ক করল গেরুয়া শিবির। তাদের অভিযোগ চিনের পক্ষে সওয়াল করাই বামেদের অগ্রাধিকার।

শুক্রবার, সিপিএম-এর পুদুচেরি শাখার পক্ষ থেকে, টুইট করে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা দেং শিয়াওপিং-এর মৃত্যু দিবস স্মরণ করা হয়। সিপিএম পুদুচেরির সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে দেং শিয়াওপিং-এর একটি ছবি পোস্ট করে তাঁকে 'কমরেড' বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ২৪ বছর আগে, ১৯৯৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের একজন বিপ্লবী কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন। চিনা কমিউনিস্ট পার্টি চিনা বৈশিষ্ট্য ধরে রেখে, মার্কসবাদ-লেনিনবাদ এবং মাও-এর ভআবনা এবং তত্ত্ব নিয়ে চিনে সমাজতন্ত্রের গঠনকে নেতৃত্ব দিয়েছিল, বলেও দাবি করা হয়।

সিপিএম পুদুচেরি-র এই টুইটটি ধরেই বাংলা ও কেরলের ভোটদাতাদের সতর্ক করেছে বিজেপি। টুইট পোস্টটি রিটুইট করে বিজেপি বলেছে, চিনের হয়ে ব্যাট করাই বামফ্রন্টের অগ্রাধিকার। একই সঙ্গে তারা কেরল ও বাংলার ভোটারদের কাছে 'পুরোনো কমিউনিস্ট আদর্শ, কমিউনিস্ট ভণ্ডামি এবং কমিউনিস্ট অত্যাচার'-কে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে। সেইসঙ্গে বিজেপির অভিযোগ বামেরা ভারতীয় সৈন্যদের বা ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়।

কেরলে ক্ষমতা দখলের মতো জায়গায় না থাকলেও বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া লড়াইয়ের মুখে ফেলেছে বিজেপি। তবে তারপরও বেশ কয়েকটি নির্বাচন পূর্ববর্তী জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের থেকে সামান্য হলেও পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় সভার পর সভায়, মমতা সরকারের অবসান ঘটাতে বাম ভোটারদের বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছেন বিজেপি নেতারা। এবার দেশভক্তির অস্ত্রেই শানানো হল আক্রমণ। গেরুয়া শিবিরে কি আসবে লাল শিবিরের সাড়ে সাত শতাংশ ভোট?