সংক্ষিপ্ত

সদ্য গঠিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নের্তৃত্বাধীন সপ্তদশ মন্ত্রীসভা
এনডিএ পরিচালিত এই পরিচালিত এই মন্ত্রীসভায় মন্ত্রীর সংখ্যা ৫৭
অর্থ ও শিক্ষার নিক্তিতে দেখে নেওয়া যাক কার কত দূর দৌড়

সদ্য গঠিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নের্তৃত্বাধীন সপ্তদশ মন্ত্রীসভা। এনডিএ পরিচালিত এই পরিচালিত এই মন্ত্রীসভায় মন্ত্রীর সংখ্যা ৫৭। হলফনামা থেকে জানা যাচ্ছে এদের মধ্যে ২২ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আরও উল্লেখ্য, এর মধ্যে ১৬ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের মামলা রুজু হয়েছে। 

এই অপরাধগুলির মধ্যে রয়েছে জনতার সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ খুন ধর্ষণ, ডাকাতি, জাতিদাঙ্গা, দেশদ্রোহীতা, রাজনৈতিক, হিংসা, অপহরণের মতো মারাত্মক অভিযোগ। ৬ জন মন্ত্রী যথাক্রমে প্রতাপচন্দ্র সারঙ্গী, বাবুল সুপ্রিয়, গিরিরাজ সিং নিত্যানন্দ রায়, অমিত শাহ এবং প্রহ্লাদ যেশির মাথায় ঝুলছে আইপিসি ১৫৩-এ ধারায় সাম্প্রদায়িক হিংসার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।

ভোটের সময় টাকা ছড়ানো, ঘুষ দেওয়া, কোন ব্যক্তিকে ভোট দানের সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করার মত অভিযোগ রয়েছে অশ্বিনী কুমার চৌবে, নীতিন গড়করি, গিরিরাজ সিংহের বিরুদ্ধে। 

নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরনের বিরুদ্ধে ৩০৭ নং ধারায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে এ কথা জানাচ্ছে খোদ সরকারি তথ্যই।  

আসা যাক ধনকুবেরের তালিকায়। দেখা যাচ্ছে এবারের মন্ত্রিসভার ৫৭ জন মন্ত্রীর ৫১ জন কোটিপতি। এদের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হারসিমরত কৌর বাদল। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এর মতে, হারসিমরত কৌর বাদল-এর বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ ২১৭কোটি টাকা।

সমস্ত মন্ত্রীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে চারজন মন্ত্রী নিজেরাই ঘোষণা করেছেন তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ৪০ কোটি টাকার বেশি। পীযূষ গোয়েল দ্বিতীয় ধনী মন্ত্রী। তাঁর  ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ৯৫ কোটি টাকা। অনেকটাই পিছিয়ে আছেন রাও ইন্দ্রজিৎ সিংহ। তৃতীয় স্থানে থাকা এই মন্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ ৪২ কোটি টাকা।  

বলা বাহুল্য মাত্র ৫ জন মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকার কম। এদের মধ্যে সবচেয়ে কম অর্থবান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতাপচন্দ্র সারঙ্গী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১৩ লক্ষ টাকা। 

আসা যাক শিক্ষার প্রসঙ্গে। 8 জন মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের শিক্ষার দৌড় মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এর মধ্যে।  ৪৮ জন মন্ত্রী স্নাতকের সিঁড়ি ভেঙেছেন। একজন মন্ত্রী ডিপ্লোমাধারী।