দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন 'বিচার প্রদান করতে ৭ বছর সময় লেগেছে। এমন আর কোনও ঘটনা আবার য়েন না ঘটে, আজ, আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি নিতে হবে। আমরা দেখেছি যে দোষীরা কীভাবে সম্প্রতি আইনের কারসাজি করেছিল। আমাদের বিচার ব্যবস্থায় অনেক ফাঁক রয়েছে, আমাদের ব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার'।
নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসি LIVE, দেহ এল ময়নাতদন্তে, পরিবারের জন্য চাপল 'বিশেষ শর্ত'
বৃহস্পতিবার, সারাদিন সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লির এক নিম্ন আদালতে প্রায় ৪টি মামলা হওয়ার পর শুক্রবার ভোরে ফাঁসি কার্যকর হওয়া নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু, রাতে সেই রায়-কে দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানান তিন আসামির আইনজীবী এপি সিং। কিন্তু, প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত চলা সেই শুনানির শেষে নির্ভয়াকাণ্ডের নিষ্পত্তি এদিন ভোর সাড়ে ৫ টাতেই বহাল রাখা হল। নির্ভয়াকাণ্ডের চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসির সব খবরের লাইভ আপডেট পেতে চোখ রাখুন এখানে -
- FB
- TW
- Linkdin
মরদেহ শেষকৃত্য করা নিয়ে কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন না, এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই আসামিদের মৃতদেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
নির্ভয়ার বাবা-মা, আশা দেবী, বদ্রীনাথ সিংহ এবং তাঁদের আইনজীবী সীমা কুশওয়া - দীর্ঘ সাত বছরের আইনি লড়াইয়ের তিন নায়ক এদিনের ফাঁসির পর নির্ভয়ার বাড়ির বারান্দা থেকে বিজয়ের চিহ্ন দেখালেন।
ফাঁসির প্রায় তিন ঘন্টা পর আসামির দেহ নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স-এ করে তিহর জেল কমপ্লেক্স থেকে দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে আনা হল। এখানেই দেহগুলির ময়না তদন্তের পর তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ফাঁসির খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে উৎসব। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া গ্রামের উৎসবের দৃশ্য।
দিল্লির মহিলা কমিশন-এর চেয়ারপারসন স্বাতি মালিওয়াল বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন, সাত বছরেরও বেশি সময় পরে নির্ভয়া ন্যায়বিচার পেয়েছে, আজ অবশ্যই তাঁর আত্মা শান্তি পেয়েছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের সভাপতি রেখা শর্মা জানিয়েছেন এই পাঁসি কার্যকর হওয়ার মদ্য দিয়ে এদিন একটি উদাহরণ তৈরি হল, তবে তাতে অনেক দেরি হল।
নিয়মমতো ফাঁসির পর জেলের এক ডাক্তারকে দিয়ে দেহগগুলি পরী৭া করানো হয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন, চারজনই মৃত।
গোটারাত ধরে নির্ভয়ার চার আসামিরর ফাঁসির খবরের আশায় তিহার কারাগারের বাইরে দাড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা ভোরবেলাতেই মিষ্টি বিতরণ করে উৎসব করা শুরু করে দেন।
নির্ভয়াকাণ্ের আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর নির্ভয়ার মা জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে এতদিনে ন্যায়বিচার পেয়েছে। তবে একানেই তার লড়াি শেষ হচ্ছে না। তিনি বলেন, 'আমাদের মেয়ে আর নেই এবং ফিরে আসবে না। ও আমাদের ছেড়ে যাওয়ার পর আমরা এই লড়াই শুরু করেছিলাম। শুরুতে এই লড়াই ছিল শুধু ওর জন্য, কিন্তু এখন আমরা আমাদের অন্যান্য মেয়েদের জন্য এই লড়াই ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাব'।
সাত বছরের লড়াই শেষে যুদ্ধে জিতেছেন আশা দেবী। নির্ভয়ার মা। ফাঁসির আগের দিন ও রাত গোটাটাই কেটেছে বিভিন্ন আদালতে। ফাাঁসির পর তিনি জানালেন এই দিনটা বারতের সব মেয়েদের দিন। সরকার ও বিচার ব্।বস্থাকে ন্যাচবিচার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
২০১২ সালে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার আসামিকে দিল্লির তিহার কারাগারে একসঙ্গে ফাঁসি দেওয়াা হল। ফাঁসি দিলেন ফাঁসুড়ে পবন জসল্লাদ। ন্যায়বিচার পেল নির্ভয়া। সাাত বছর পর ঘটল ঘটনার নিষ্পত্তি।
তিহার কারাগারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন ফাঁসি মঞ্চে আনা হয়েছে ২০১২ সালের দিল্লি গণধর্ষণের ও হত্যার চার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি-কে।
তিহার কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে জোরদার নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে। আর কিথু৭ণের মধ্যেই ফাঁসি দেওয়া হবে ২০১২ সালের দিল্লির গণধর্ষণের ও হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি-কে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবী এপি সিং আদালতের কাছে আবেদন করেছেন আসামিদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের শেষবার ৫-১০ মিনিটের জন্য সাথে দেখা করার অনুমতির জন্য। কিন্তু এই বিষয়ে াদালত কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবীর সিদ্ধান্তের উপর বিষয়টি ছেড়েছেন।
সাত বছরের লড়াই শেষে নির্ভয়ার মায়ের হাতে আজ জয়ের চিহ্ন।
সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রপতির দ্বারা পবনের প্রাণভিক্ষার আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলা এবং মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ চেয়ে করা মামলা - দুটিই কারিজ করে দিল। আর দেড় ঘন্টা পরই ফাঁসি।
আসামিদের আইনজীবী এপি সিং মেনেই নিলেন চার আসামির ফাঁসি হওয়া নিশ্চিত। এই কথা মেনেও অন্।তম আসামি পবনের জবানবন্দি নথিভুক্ত করার জন্। মৃত্যু পরোয়ানা দু'-তিন দিনের জন্য স্থগিত করার আবেদন জানালেন তিনি।
এপি সিং আদালতের সামনে পবন গুপ্তার স্কুল সার্টিফিকেট, স্কুল রেজিস্ট্রার, উপস্থিতির খাতা রেখে ফের দাবি করলেন অপরাধের সময় পবন নাবালক ছিল। বিচারপতি ভূষণ তাঁকে মনে করিয়ে দিলেন এই সব নথি তিনি আগেই আদালতে পেশ করেছেন, এবং এগুলি খারিজ হয়ে গিয়েছে।
শুধু স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা নয়, ভোররাতে সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপতির নেওয়া পবন গুপ্তার দ্বিতীয় প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ-এর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলারই শুনানি একসঙ্গে শুরু হয়েছে।