সংক্ষিপ্ত

  • প্রতিবছরই প্রবল বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত হয় উত্তরাখণ্ডে জনজীবন
  • চলতি মাসের শুরুতে উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সেখানরকার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন
  •  এরই মধ্য়ে প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ
  • সেতু নেই তাই প্রাণ হাতে নিয়ে ট্রলিতেই ঝুঁকির পারাপারে অভ্যস্ত নৈনিতালের মানুষ 

প্রতিবছরই প্রবল বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত হয় উত্তরাখণ্ডে জনজীবন। এবছর চলতি মাসের শুরুতে উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সেখানরকার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। আবহাওয়া দফতর সূত্রে, উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল, তেহরি, পৌরি, হরিদ্বার, পিথোরাগড়-এর মতো জায়গায় ভারী  থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছিল। সেইমতো লাগাতার বর্ষণের জেরে উত্তরাখণ্ডে কার্যত বানভাসি অবস্থা।

আর এরই মধ্য়ে প্রাণ হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে গত কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সাংঘাতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন দানিজেলা গ্রামের মানুষজন। দানিজেলা গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন একটি নদী পেরিয়ে যেতে হয়। তবে লাগাতার বৃষ্টির জেরে সেই নদীর দুকুল ছাপিয়ে বইছে জলস্রোত। আর এই অবস্থায় নদী পারাপারের এক অদ্ভুত উপায় বের করেছেন  নৈনিতালের মানুষরা। তাঁরা নিজেদের উদ্যোগেই তৈরি করেছেন একটি ট্রলি। যাতে চেপেই নদীর এক পার থেকে অন্যপারে যাতাযাত করছেন মানুষ। 

 

তবে শুনলে অবাক হবেন এই ঝুলন্ত ট্রলি কিন্তু তৈরি করেছেন স্বয়ং গ্রামবাসীরাই। যা কিন্তু কোনও নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। নদী পারাপারে সুবিধার জন্যই গ্রামবাসীরা নিজেদের চেষ্টাতেই তৈরি করেছেন সেই ট্রলি আর তার মাধ্যমেই চলছে ঝুঁকির পারাপার। স্কুল ছাত্র-ছাত্রী থেকে সকলেই এই পথই বেছে নিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, প্রতি বছরই বর্ষাকালে জলস্তর বেড়ে গিয়ে এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর সেই কারণে তাঁরা সরকারের কাছে  একটি সেতু তৈরির আবেদন জানিয়েছেন। জেলাশাসকের কথায়, এই নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে এবং সরকারের সম্মতির জন্যও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।