সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনে হঠাৎই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। সৌজন্যে হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা কানাউত।
স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। এ বিষয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভের আগে বিক্ষিপ্তভাবে ভারতের কয়েকটি জায়গা কিছুদিনের জন্য ইংরেজ শাসনমুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামকে যেমন সাময়িকভাবে স্বাধীন করা সম্ভব হয়েছিল, তেমনই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ বাহিনীও ভারতে প্রবেশ করে কয়েকটি জায়গা থেকে ব্রিটিশদের হটিয়ে দিতে পেরেছিল। সেই সময় নেতাজিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সিঙ্গাপুরে থাকার সময় আজাদ হিন্দ বাহিনীর সরকারও গঠন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে নেতাজিকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কঙ্গনা। এ কথা বলার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি। পাল্টা সমালোচকদের ইতিহাসের পাঠ দিচ্ছেন কঙ্গনা।
সমালোচকদের পাল্টা কটাক্ষ কঙ্গনার
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সমালোচকদের পাল্টা আক্রমণ করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘যাঁরা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আমাকে জ্ঞান দিচ্ছেন, তাঁরা পড়ে দেখুন। যাঁরা প্রথমবার পড়ছেন, তাঁরা কিছুটা সাধারণ জ্ঞান অর্জন করুন। যে মহাজ্ঞানীরা আমাকে শিক্ষা নিতে বলছেন, তাঁদের জানা উচিত, আমি ইমার্জেন্সি নামে একটি ছবির চিত্রনাট্য লিখেছি, অভিনয় করেছি, পরিচালনা করেছি। এই ছবিতে নেহরু পরিবারের কথাই তুলে ধরা হয়েছে। ফলে আমার চেয়ে নিজেদের বেশি জ্ঞানী মনে করে আমাকে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করবেন না। আমি যদি আপনাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিতে কুলোয় না এমন কোনও বিষয়ে কথা বলি, তাহলে আমি কিছু জানি না এ কথা ভেবে থাকলে আপনারাই হাসির পাত্র হয়ে উঠবেন।’
কঙ্গনার সমালোচনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা
নেতাজিকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলায় কঙ্গনাকে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম নেত্রী সুভাষিনী আলি, বিআরএস নেতা কে টি রামা রাও। তবে কঙ্গনা নিজের মতে অনড়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Netaji: 'কোনও সরকারের সমপ্তি ঘোষণা...', সিভিল সার্ভিসে যোগ না দিয়ে বলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু