সংক্ষিপ্ত

দিগ্বিজয় সিংকে প্রার্থী করা হয়েছে রাজগড় আসন থেকে। অন্যদিকে কংগ্রেস বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে অজয় রাইকে।

 

অবশেষে প্রকাশিত হল কংগ্রেসের চতুর্থ প্রার্থী তালিকা। তালিকায় নাম রয়েছে ৪৬ জনের। এই তালিকায় দুটি বড় নাম হল দিগ্বিজয় সিং ও কার্তি চিদাম্বরম। দিগ্বিজয় সিংকে প্রার্থী করা হয়েছে রাজগড় আসন থেকে। অন্যদিকে কংগ্রেস বারাণসী থেকে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে অজয় রাইকে। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের ছেলে কার্তি চিদাম্বরমকে প্রার্থী করা হয়েছে তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা থেকে। বহুজন সমাজ পার্টির বহিষ্কৃত সাংসদ দানিশ আলিকে উত্তর প্রদেশের মাঠে থেকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে পিএল পুনিয়ার ছেলে তনুজ পুনিয়াকে উত্তর প্রদেশের বরাবাঙ্কি থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর বর্তমান সাংসদ মনিকম ঠাকুরে বিরুদ্ধনগর কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হয়েছে।

 

 

উত্তর প্রদেশের দুই প্রার্থী ইমরান মাসুদকে সাহারানপুর ও অলোক মিশ্রকে কানপুরের টিকিট দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হরীশ রাওয়াতের ছেলে বীরেন্দ্র চাওয়াতকে হরিদ্বার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে। রাজস্থানের নাগৌর লোকসভা কেন্দ্র কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির জন্য ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস।

তালিকায় বাংলার এক মাত্র কোচবিহার কেন্দ্রের নাম রয়েছে। এই কেন্দ্রের জন্য প্রিয়া রায় চৌধুরীকে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের ৯টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও নেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম। আমেঠি বা রায়বরেলি কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম এখনও ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস। তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর , রাজস্থান, ত্তরাখণ্ডের কয়েকজন প্রার্থীর নাম।

চারটি দফায় এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। তবে সূত্রের খবর জোট নিয়ে এখনও বিভিন্ন রাজ্যে আলোচনা করছে কংগ্রেস। পঞ্জাবে আপ আর মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে আসন রফা প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে বলেও ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। তবে এই রাজ্যে এখনও বামেদের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে কথাবর্তা চলছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এই রাজ্যে কংগ্রেস প্রথম থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে আসন রফা করতে চেয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একতরফা ৪২ আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও জোট নিয়ে উৎসহ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তা না হওয়ায় পুরনো সঙ্গী বামেদের সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা শুরু হয়েছিল।