সংক্ষিপ্ত
লোকসভা নির্বাচনের আগে আয়কর বিভাগের নোটিস পেয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস। এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার হয়তো সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে কংগ্রেস।
বকেয়া আয়কর বাবদ দিতে হবে ১,৭০০ কোটি টাকা। কংগ্রেসকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারই আয়কর বিভাগের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এরপরেই কংগ্রেসকে আয়কর বিভাগের নোটিস পাঠানো হল। ২০১৭-১৮ ও ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্যই এই বিপুল অর্থ দিতে হবে কংগ্রেসকে। জরিমানা ও সুদ দিতে হওয়ায় কংগ্রেসের প্রদেয় অর্থের পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা বিবেক তনখা স্বীকার করেছেন, তাঁরা আয়কর বিভাগের নোটিস পেয়েছেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৪ বছর করফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই বকেয়া অর্থই এবার আদায় করার উদ্যোগ নিয়েছে আয়কর বিভাগ।
কর-সন্ত্রাসের অভিযোগ কংগ্রেসের
লোকসভা নির্বাচনের মুখে আয়কর বিভাগের নোটিস নিয়ে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। বিরোধী দলকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আয়কর বিভাগকে কাজে লাগাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘আমাদের আর্থিকভাবে চাপে ফেলে দেওয়ার জন্যই নোটিস পাঠানো হয়েছে। এটা কর-সন্ত্রাস। কংগ্রেসকে আক্রমণের জন্যই এটা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। তবে আমরা এই নোটিস পেয়ে ভীত হয়ে পড়িনি। আমরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে এই নির্বাচনে লড়াই করব।’
কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আয়কর বিভাগ জানায়, কংগ্রেসের দেওয়া করে গদল রয়েছে। এর জন্য জরিমানা দিতে হবে। ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনালও (আইটিএটি) জানায়, কংগ্রেসকে জরিমানা দিতে হবে। এরপর কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের দাবি, আয়কর বিভাগের এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে কংগ্রেস।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Congress: আয়কর বিভাগের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আর্জি খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের
ভোটের আগে বিপাকে কংগ্রেস, IT দফতর বাজেয়াপ্ত করেছে কংগ্রেসের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট