সংক্ষিপ্ত

সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান কেসিআরের এই মেগা সমাবেশে অংশ নেন। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের প্রাচীনতম দল কংগ্রেসের অবস্থান বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় বিরোধী দলগুলো। এমন পরিস্থিতিতে আবারও বিরোধী ঐক্যের স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। এর হলমার্ক সম্প্রতি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের খাম্মামে মেগা সমাবেশে দেখা গেছে। অন্যদিকে, বারবার বিরোধী জোটের ঐক্যের কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তিনি বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস চায় সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলি একত্রিত হয়ে লড়াই করুক। আগামী ২০২৪ সালে বিজেপিকে পরাস্ত করুক। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা সময় তণমূল কংগ্রেস ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিছে। এই রাজ্যে সিপিআই(এম)-কে পরাজিত করেছে। এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল বিজেপিকেও পরাজিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে বিজেপি-কেও পরাজিত করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান কেসিআরের এই মেগা সমাবেশে অংশ নেন। এই সমাবেশের মাধ্যমে দেশে বিরোধী ঐক্য ও বিজেপির একটি বড় বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের প্রাচীনতম দল কংগ্রেসের অবস্থান বিরোধী ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

একলা চলো রে-এর পথে কংগ্রেস

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ কেসিআরের সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে বলেন ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে বিরোধী জোটকে দুর্বল করে দিচ্ছে কংগ্রেসের অবস্থান। বিরোধী জোটকে একা করে যাওয়ার জন্য কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করেন। তিনি বলেছিলেন, তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলির মধ্যে একটি সমন্বয় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন এবং অন্যান্য রাজ্যে একটি যৌথ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। যদিও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আসলে, বিরোধী দলগুলির মধ্যে সংহতির জন্য একটি সমন্বয় দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও, তিনি বিরোধী দলগুলির একটি যৌথ সমাবেশের আয়োজন করারও প্রস্তাব করেছেন, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। তবে এই উদ্যোগে কংগ্রেসকে পাশে পাননি মমতা বলে অভিযোগ করেছেন কুণাল ঘোষ।

হাত সে হাত জোড়ো অভিযান শুরু করেছে কংগ্রেস

অন্যদিকে, কংগ্রেস দল তার ভারত জোড়ো অভিযান থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে উচ্ছ্বসিত। দলের দাবি, এই সফর কংগ্রেস কর্মীদের উৎসাহিত করেছে এবং রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তিও জাতীয় স্তরে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেটিকে পুঁজি করে লোকসভা নির্বাচনে দলটি এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দল ভারত জোড়ো যাত্রা, হাত সে হাত জোড়ো অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব ঘোষণা করেছে, এর লোগোও প্রকাশ করেছে হাত শিবির।