সংক্ষিপ্ত

যেভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, তা ক্রমশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা নিয়েই আলোচনা চলবে বলে খবর। 

বুধবার সংসদে (Parliament) করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ ( new Omicron variant) বা ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে আলোচনার (discuss) সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর দেশ জুড়ে যেভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, তা ক্রমশ চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তা নিয়েই আলোচনা চলবে বলে খবর। রুল নম্বর ১৯৩-এর আওতায় আলোচনা চলবে। এই আলোচনায় ওমিক্রন সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইতে পারেন লোকসভার (Lok Sabha) সদস্যরা। কেন্দ্র সেইসব তথ্য তুলে দেবেন সাংসদদের সামনে। 

মূলত এদিনের অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য ওমিক্রন সংক্রান্ত সবরকম প্রশ্নের উত্তর দেবেন সংসদে। তবে সংক্ষিপ্ত সময় ধরে ওমিক্রন সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব চলবে বলে সূত্রের খবর। 

এরআগে, রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নোত্তর পর্বে (Question Hour) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Union Minister of Health and Family Welfare) মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandaviya) জানান, ভারতে এখনও ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলেনি। তবে সদা সতর্ক রয়েছে কেন্দ্র। ওমিক্রন সম্পর্কে একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, "এই নতুন রূপটি ১৪টি দেশে পাওয়া গেছে। ভারতে এখনও ওমিক্রনের কোনও আক্রান্তের খবর মেলেনি। তবে আমরা সমস্ত সম্ভাব্য সতর্কতা অবলম্বন করছি এবং পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সিং করছি।

জিনোম সিকোয়েন্সিং কী

জিনোম সিকোয়েন্সিং এমন এক পদ্ধতি যা বিজ্ঞানীদের একটি কোভিড সোয়াব নমুনা থেকে ভাইরাল উপাদান আলাদা করতে, আরএনএ সনাক্ত করতে এবং এর গঠন নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। সুতরাং, এই পদ্ধতির মাধ্য বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের সঠিক রূপটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয় যা একজন ব্যক্তিকে সংক্রামিত করেছে। 

বিজ্ঞানীরা বলছেন সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়েও বিপজ্জনক। কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ ওমিক্রন। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা একে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন কোভিড-১৯ রূপের নামকরণ করেছে B.1.1.529। এটি দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে। 'Omicron' হিসাবে পরিচিত করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। 

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খবরে বিভিন্ন দেশের বিমনাবন্দরে জারি হয়েছে নতুন সতর্কতা। এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডি অলিভিয়েরা জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট মিউটেট করেছে ৫০ বার। আর এর স্পাইক প্রোটিন বদলেছে ৩০ বার। মানুষের দেহের মধ্যে ঢুকতে কোভিড ভাইরাস এই স্পাইক প্রোটিন ব্যবহার করে। এবং করোনার ভ্যাকসিন সাধারণত এই স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়।