সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছেন বিজেপি বিরোধী ঐক্য ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতারা। আর সেখানেই বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতার কথা।

ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছেন বিজেপি বিরোধী ঐক্য ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতারা। আর সেখানেই বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে পার্লামেন্টে বিরোধী দলনেতার কথা।

লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অপরদিকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল গান্ধীরই বিরোধী দলনেতার আসনে বসা উচিত। শনিবার, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক এবং সংসদীয় বৈঠকের আগে দলের একাধিক নেতৃত্ব এই দাবি তুলেছেন। শশী থারুর, কার্তি চিদম্বরম, কিশোরীলাল শর্মা সহ অনেকেরই দাবি, রাহুল গান্ধীই যেন বিরোধী দলনেতার পদে বসেন।

কংগ্রেস সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে রাহুল গান্ধী নিজেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। হয় তিনি, না হলে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন কাউকে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কারা এগিয়ে আছেন?

শোনা যাচ্ছে, হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা কুমারী শৈলজা বা দীপেন্দ্র সিংহ হুডাও বিরোধী দলনেতা হিসেবে সংসদে যেতে পারেন। সেইসঙ্গে কেরালার কে সি বেণুগোপাল এবং শশী থারুরেরও নাম ঘোরাফেরা করছে। তালিকায় আছেন চণ্ডীগড়ের মণীশ তিওয়ারি, অসমের কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈয়ের নামও।

সূত্রের খবর, শনিবার সকালে কংগ্রেসের যে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক রয়েছে, সেখানে এই বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হবে। তারপর সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে রাহুল গান্ধী বাদে বাকি সাংসদরা এই নিয়ে দাবি তুলতে পারেন। উল্লেখ্য, সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী। ফলে, এক্ষেত্রে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় রয়েছেন।

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে, ৯৯টি আসন জিতে গতবারের তুলনায় ভালো ফল করেছে কংগ্রেস। যদিও শীর্ষনেতৃত্ব মনে করছেন, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটক এবং হিমাচল প্রদেশে আশানুরুপ ফলাফল হয়নি। তাই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে রিপোর্ট চাওয়া হবে এই রাজ্যগুলির থেকে।

সেইসিঙ্গে, চলতি বছরের শেষে এবং আগামী বছরের গোড়ার দিকে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং দিল্লীর চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ের ফলাফল নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত কংগ্রেস নেতৃত্ব। দুটি রাজ্যে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতেই হেরেছে হাত শিবির।

অন্যদিকে, আম আদমি পার্টির সঙ্গে দিল্লীতে কংগ্রেসের জোট হলেও বিজেপি ৭টি আসনই জয়লাভ করেছে। কংগ্রেস নেতারা হাইকম্যান্ডকে জানিয়েছেন, আম আদমি পার্টির থেকে কোনওরকম সহযোগিতা মেলেনি। এদিকে আবার আগামী বছরের গোড়ায় দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচন।

সবমিলিয়ে, বিরোধী দলনেতা সহ একাধিক বিষয়ে শনিবারের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।