সংক্ষিপ্ত

ওড়িশায় রথযাত্রায় দুই ভক্তের মৃত্যু। আহত হয়েছে ১৩০ দিন। দুই দিনে রথ পৌঁছাল মাসির বাড়ি।

 

রবিবারের পর সোমবারও দুর্ঘটনা পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রায়। দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় দুই জনের মত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক ভক্ত। ওড়িশার পুরীর জগন্নাথদেবের রথযাত্রা চলাকালীন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে ১৩০ জন। ৫৩ বছর পরে এবার দুই দিন ধরে চলছে রথযাত্রা অনুষ্ঠান। রবিবারের পর সোমবারও জগন্নাথদেব,সুভদ্রা আর বলভদ্রের রথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি গুন্ডিচায় পৌঁছে গেছে।

পুরীর রথযাত্রার সময় রহিবার বোলাঙ্গি জেলার এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত কুমার পট্টনায়েক জানিয়েছেন, রবিবার রথযাত্রার সময় পুরীরে পদপিষ্ট হওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয়েছিল। এক ব্যক্তিকে সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আধিকারিক আরও বলেন , 'আমরা যখন তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে রাখি তখনও সেই ব্যক্তির স্পন্দন চলছিল। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাঁকে সিপিআইর দিয়েছিলাম। তবে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ' স্থানীয় হাসপাতাল জানিয়েছে, দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। অন্য ঘটনাটিও ঘটে রবিবার। ঝাড়সুগুদা জেলায় রথযাত্রার সময় রথের চাকার নিয়ে পড়ে যায় এক ভক্ত। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জেলার কুকুজংঘা গ্রামের পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্যাম সুন্দর কিষাণ। বয়স ৪৫ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, রথ টানার সময় কোনওভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রথের চাকার তলায় পড়ে যায়। তার ওপর দিয়ে চলে যায় রথ। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়।

৫৩ বছর পর বিরল যোগের কারণে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির দিন বিকেলে রথের রশিতে টান পড়েছে এবার। একই কারণে এবার দুই দিন ব্যাপি রথযাত্রা পুরীতে। পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিসচালানদা সরস্বতী তাঁর শিষ্যদের নিয়ে ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার রথ পরিদর্শন করার পর এবং পুরীর নামকরা রাজা 'ছেরা পাহাড়' (রথ ঝাড়ু দেওয়া) আচার সম্পন্ন করার পর রথ টানা শুরু হয়। শনিবারই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তিনটি রথ পরিদর্শন করেন ও পুজো দেন।