সংক্ষিপ্ত

তাঁর বই 'দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে' 'ভারত মার্গ'-এর মারাঠি অনুবাদ প্রকাশ উপলক্ষে পুনেতে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর যা বললেন তা শুনে উপস্থিত মানুষ বেশ অবাক হন। উপস্থিত শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এমন কিছু বলেছেন যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে পারে। 

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাজনীতিতে আসার আগে একজন সফল কূটনীতিক ছিলেন। তার বিদেশনীতিকে ভারতের জন্য কড়া ও দৃঢ় পদক্ষেপের বলে মনে করা হয়। একটি অনুষ্ঠানে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই কূটনীতিকের নাম প্রকাশ করেছেন। তার দেওয়া বক্তব্য রীতিমত ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। বিদেশনীতি নিয়ে তিনি রামায়ণ ও মহাভারতকে স্মরণ করেছেন। পুনেতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় কূটনীতিক ছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ও হনুমান। ভগবান হনুমান মিশনের সাফল্যের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন বহুমুখী কূটনীতিক। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন কৌশলগত ধৈর্যের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। মহাভারতের গল্প যারা নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের গল্প। পাণ্ডবদের খ্যাতি কৌরবদের চেয়ে ভালো ছিল।

তাঁর বই 'দ্য ইন্ডিয়া ওয়ে' 'ভারত মার্গ'-এর মারাঠি অনুবাদ প্রকাশ উপলক্ষে পুনেতে বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর যা বললেন তা শুনে উপস্থিত মানুষ বেশ অবাক হন। উপস্থিত শ্রোতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এমন কিছু বলেছেন যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হতে পারে। বিশ্ব কূটনীতি নিয়ে তার বক্তব্য ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কেন ভাইরাল হচ্ছে এস জয়শঙ্করের বক্তব্য?

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, 'সবচেয়ে বড় কূটনীতিক ছিলেন একজন শ্রীকৃষ্ণ এবং একজন হনুমান। আপনি যদি তাকে কূটনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন তবে তিনি কী পরিস্থিতিতে ছিলেন, তাকে কী মিশন দেওয়া হয়েছিল, কীভাবে তিনি তা পরিচালনা করেছিলেন, সেগুলি অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে। নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে হনুমান এতটাই এগিয়ে গেলেন যে লক্ষ্যপূরণের জন্য মাতা সীতার সঙ্গে দেখা করলেন এবং লঙ্কাও পুড়িয়ে দিলেন। গোটা লঙ্কার ছারখার করে দিলেন। তাই বলাই যায় তিনি বহুমুখী কূটনীতিক ছিলেন।

এস জয়শঙ্কর কেন মহাভারত স্মরণ করেন?

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, 'একটু ভেবে দেখুন, আজকের বিশ্ব বহুমুখী প্রতিভাকে মনে রাখে। সে সময় কুরুক্ষেত্রের মাঠে কী ঘটেছিল? বিভিন্ন রাজ্য ছিল, সবাইকে বলা হয়েছিল আপনি তাদের সাথে আছেন, আপনি আমার সাথে আছেন। বলরামের মতো দলাদলিবিহীন ব্যক্তিরাও তখন উপস্থিত ছিলেন। আমরাও বলি এটা একটা গ্লোবাল ওয়ার্ল্ড, এগুলোই সীমাবদ্ধতা। অর্জুন আবেগগতভাবে অন্যদের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন আমি আমার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে কিভাবে যুদ্ধ করব। মাঝে মাঝে আমরা বলি যে পাকিস্তান এটা করেছে, সেটা করেছে, আসুন, আমরা সেইরকম কৌশলগত ধৈর্য্য দেখাই। উজ্জ্বল কূটনীতির শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

কেন একটা হৈচৈ হতে পারে?

বিরোধীদের একটা অংশ আছে যারা ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাস করে। তিনি চান সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরা যেন কোনো বিশেষ ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন বক্তব্য না দেন। হনুমান ও কৃষ্ণ হিন্দু দেবতা। এখন এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের মধ্যে হইচই হতে পারে।