সংক্ষিপ্ত
- মধ্যপ্রদেশের আস্থা ভোট চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি
- আগামিকাল হবে শুনানি
- কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ
- স্বস্তি টিকল না ৭৩ বছরের কমল নাথের
বেশি সময়ের জন্য স্বস্তিতে থাকতে পারলেন না ৭৩ বছরের কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। সোমবার মধ্যপ্রদেশের স্পিকার এনপি প্রজাপতি আস্থাভোটের ওপর স্থগিতাদেশের সিন্ধান্ত ঘোষণা করার পরপরই বিজেপি দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেস পরিকল্পিত ও ইচ্ছেকৃতভাবেই পিছিয়ে দিয়েছে আস্থাভোট। ইচ্ছেকৃতভাবেই শক্তিপরীক্ষার জন্য আরও সময় দেওয়া হচ্ছে কমল নাথকে। গেরুয়া শিরিবের আরও অভিযোগ এই সময় বিধায়ক কেনাবেচাও করা হতে পারে। আগামিকাল সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শুনবে বলেও জানান হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় স্থগিতাদেশ ঘোষণা হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিজেপির বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান রাজভবনে যান। সঙ্গে ছিলেন দলের বেশ কয়েকজন বিধায়কও। কিছু সময় আগে পরে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যামন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং-এ কথা বলেন রাজ্য়পাল লালজি ট্যান্ডনের সঙ্গে। রাজ্যপালের সঙ্গে কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা অবস্য কেউই খোলসা করেননি।
এই পরিস্থিতে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। ট্যুইট করে তিনি আক্রমণ করেন বিজেপিকে। তিনি বলেন করোনাভাইরাস, অর্থনীতি সহ একাধিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশে ও গুজরাটে সমস্যা তৈরি করছে বিজেপি।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল বদলের পর থেকেই মধ্যপ্রদেশে সংকটে পড়েছে কমল নাথ সরকার। বিজেপির দাবি, সিন্ধিয়ার সঙ্গে দল বদল করেছেন ২২ কংগ্রেস বিধায়ক। যদিও সকলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল কমল নাথ সরকারের। কিন্তু ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিলেন কমল নাথ। কিন্তু সেই স্বস্তি বেশসময় স্থায়ী হল না বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায়।