সংক্ষিপ্ত
অনেক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে প্রজেক্ট করেনি যাতে প্রতিষ্ঠানবিরোধীতাকে এড়ানো যায়। যদিও শিবরাজ দলের মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে ছিলেন না, তবে প্রচারের পুরো লাগাম তাঁর হাতেই ছিল।
মধ্যপ্রদেশে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগোচ্ছে বিজেপি। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল সাংসদ পদে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে কে বসবেন?নির্বাচনে শিবরাজ সিং চৌহান যেভাবে পরিশ্রম করেছেন, তাতে মনে হয় না দল তাকে সাইডলাইন করবে। শুধু তাই নয়, শিবরাজ যেখানেই নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করেছেন, সেখানেই প্রধানমন্ত্রীকে শিবরাজের নামে মাথা নাড়তেও দেখা গেছে। যদিও কর্ণাটক মডেলকে উপেক্ষা করে এখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সামনে রেখেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বিজেপি। অনেক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে প্রজেক্ট করেনি যাতে প্রতিষ্ঠানবিরোধীতাকে এড়ানো যায়। যদিও শিবরাজ দলের মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে ছিলেন না, তবে প্রচারের পুরো লাগাম তাঁর হাতেই ছিল।
এই কারণে কর্ণাটক মডেল ব্যর্থ হয়েছে
মধ্যপ্রদেশে কর্ণাটক মডেল বাস্তবায়নের ভয় ছিল বিজেপির। এর কারণ ছিল বিজেপি কর্ণাটকে বাসভরাজকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিল কিন্তু সেখানে দলকে পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। এর কারণ ছিল সরকারের মন্ত্রীরা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। কংগ্রেস বিজেপির দুর্নীতিকে নির্বাচনে একটি ইস্যু বানায় এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার তরঙ্গ ছিল না। একই সময়ে, কংগ্রেসের প্রচারও বিজেপির তুলনায় বেশ ম্রিয়মাণ ছিল।
কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী?
নির্বাচনের আগে শিবরাজকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেনি দল। এমন পরিস্থিতিতে জল্পনা চলছে শিবরাজ যদি মুখ্যমন্ত্রী না হন, তাহলে দল সেখানে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে? এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, নরেন্দ্র সিং তোমর এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের নাম শীর্ষে রয়েছে। এত কিছুর মধ্যেও অচেনা মুখকে মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে দল।
ফলাফলে শিবরাজের দল শক্তিশালী হয়েছে
শিবরাজের জনপ্রিয়তা দেখে মনে হচ্ছে দল তাকেই মুকুট দেবে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্বাস করা হলে, দল তাকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে। এরপর কেন্দ্রীয় রাজনীতির জন্য তাদের প্রস্তুত করতে পারেন। বর্তমানে এসব অনুমানই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের গর্ভে।
মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এই মুখগুলো
১. জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া - কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন৷ তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে এটিও একটি কারণ ছিল। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ। ফলাফলের পরপরই সিন্ধিয়া মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কঠোর পরিশ্রম করছেন। গোয়ালিয়র-চাম্বলে বিজেপি বিশাল লিড পেয়েছে, তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।
২. নরেন্দ্র সিং তোমর- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে রয়েছেন৷ তোমরকে মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও দল তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পাঠায়। এমতাবস্থায় তার নামে স্ট্যাম্প লাগতে পারে।
৩. কৈলাশ বিজয়বর্গীয় - মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিতেও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নাম শীর্ষে রয়েছে। বিজয়বর্গীয় প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তিনি লাগাতার এমন বক্তব্য দিয়ে চলেছেন যেন তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে তিনি এখানে শুধুমাত্র একজন বিধায়ক হওয়ার জন্য এসেছেন, এর বাইরে যদি দল তাকে আরও কিছু দায়িত্ব দেয় তবে আমি তাতেও কাজ করতে প্রস্তুত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।