সংক্ষিপ্ত

স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল ছিল এই বিয়ের প্রধান আয়োজক। হরিয়ানার বাসিন্দা রামপাল পাঁচ মহিলা ও এক শিশুকে খুনের দায়ে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করছে। সেই বিয়ের আসরেই ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা।

কঠোর হিন্দুবাদী রীতিরেওয়াজের জন্য বরাবরাই সুখ্যাতিরয়েছে উত্তরপ্রদেশ(Uttar Pradesh), মধ্যপ্রদেশের(Madhya Pradesh) মতো গোবলয়ের রাজ্যগুলি। এমনকী এখানকার একাধিক গেরুয়া শিবিরের বিধায়কদের বিরুদ্ধে মানুষের মনে কুসংষ্কারের বীজ বপনেরও একাধিক অভিযোগ উঠেছে অতীতে। এবার সেই সেখানেই বিয়ের আসরে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে চলল গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। যা নিয়ে বর্তমান জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা দেশেই। সূত্রের খবর, স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল ছিল এই বিয়ের প্রধান আয়োজক। হরিয়ানার(Haryana) বাসিন্দা রামপাল পাঁচ মহিলা ও এক শিশুকে খুনের দায়ে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করছে। সেই বিয়ের(Marriage) আসরেই ঘটেছে এক মর্মান্তিক ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার আচমকাই হিন্দুত্ববাদী এক ব্যক্তি বিয়ের অনুষ্ঠানে বন্দুক হাতে প্রবেশ করে হুমকি দিতে শুরু করে। দাবি করেন, যে নিয়ম-রীতি মেনে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে, তা বেআইনি। তার আরও দাবি ছিল এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আদপে হিন্দু ধর্মের অপমান করা হচ্ছে। তা বন্ধ করতেই তিনি এখানে এসেছেন। আয়োজক রামপালের দাবি, রমাইনি রীতি অনুযায়ী বিবাহ আসরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই রীতিতে মাত্র ১৭ মিনিটেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর এখানেই আপত্তি ছিল ওই অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারী ব্যক্তির। এদিকে এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে লাল পুলওভার গায়ে, চোখে সানগ্লাস এঁটে এক ব্যক্তি বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।চলছে বিস্ত চেঁচামেচি। এদিকে সূত্রের খবর, বন্দুকবাজকে ক্রমগত জয় শ্রী রাম স্লোগানও দিতে দেখা গিয়েছিল।

আরও পড়ুন- পুরভোটের আগে কলকাতায় কোটি টাকা সহ গ্রেফতার ১, তদন্তে এসটিএফ

এদিকে বিয়ে চলাকালীন এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা দেখে আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন সেখানে আগত অতিথি-অভ্যাগতরা। শুরু হয়ে যায় চিৎকার-চেঁচামেচি। প্রাণ হাতে করে পালাতে থাকেন অনেকে। আর তখনই ভিড়ের মাঝে বন্দুকবাজের হাতে গুলিবিদ্ধ হন এলাকার প্রাক্তন গ্রামপ্রধান দেবীলাল মীনা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে এই ঘটনায় ১১জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই তিনজন পুলিশের জালে ধরাও পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে যে ব্যক্তি মূল এই কর্মকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তাকে এখও ধরা গিয়েছে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যাচ্ছে না। এদিকে গোটা ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে ওই এলাকায়।