সংক্ষিপ্ত
Maharashtra Elections 2024: রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আট দিন পর অবশেষে মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের শপথগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মহাযুতির স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও, মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে জল্পনা এবং গৃহমন্ত্রী পদ নিয়ে বিতর্ক কোনওভাবেই থামছে না। তা সত্ত্বেও, সরকার গঠনের প্রক্রিয়া অবশেষে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।
শপথগ্রহণের তারিখ এবং স্থান
টিভি ৯ মারাঠীর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৫টায় এই ঐতিহাসিক শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে দেশজুড়ে বিজেপির প্রধান নেতারা উপস্থিত থাকবেন। শপথগ্রহণের প্রস্তুতির জন্য আজাদ ময়দান এলাকায় কড়া নিরक्षा ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজেপির বিধায়কদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
শপথগ্রহণের আগে ২ বা ৩ ডিসেম্বর বিজেপির সকল বিধায়কদের বৈঠক হবে। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ-এর সাথে মহারাষ্ট্রের নেতাদের বৈঠক হবে, তারপর বিজেপির বিধায়কদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ে মহাযুতি সরকারের পরবর্তী কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বিধায়কদের নির্দেশ, জেলাগুলিতেও উৎসব করুন!
শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে বিজেপি সকল বিধায়কদের মুম্বাইয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। জেলাগুলিতেও উৎসব করার আহ্বান জানিয়েছেন চন্দ্রশেখর বাবনকুলে। এর সাথে সাথে, মুম্বাইয়ের শপথগ্রহণে আসা লোকদের জন্য ১৫ থেকে ১৬ হাজার পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত হবে।
গৃহমন্ত্রী পদ নিয়ে বিতর্ক, শিন্ডে এবং অজিত দাদার ভবিষ্যৎ কি?
মহাযুতির প্রধান দলগুলির মধ্যে গৃহমন্ত্রী পদ নিয়ে আলোচনা চলছে। শিন্ডে দল এবং অজিত পাওয়ারের মধ্যে কার গৃহমন্ত্রী পদ দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। তাই শপথগ্রহণের আগে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় আর কোনও নতুন মোড় আসবে কিনা তা দেখার বিষয়।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পাস সিস্টেম
নিরাপত্তার কারণে আজাদ ময়দানে শুধুমাত্র পাসধারীদের প্রবেশ দেওয়া হবে। এর জন্য প্রতিটি জেলা থেকে বিজেপির প্রধান পদাধিকারীরা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঐতিহাসিক করার জন্য সকল প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে।
নতুন সরকারের শপথগ্রহণ, মহারাষ্ট্রের রাজনীতির নতুন দিক!
৫ ডিসেম্বরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুধু মহাযুতির জন্য নয়, রাজ্যের সমগ্র রাজনীতির জন্য একটি নতুন মোড় নেবে। সকল নেতাদের একত্রিত হওয়ার ফলে মহারাষ্ট্রের আগামী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।