সংক্ষিপ্ত

৭ই অক্টোবর থেকে রাজ্য জুড়ে খুলে দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় স্থান। দর্শনার্থীরা সব রকম করোনা বিধি মেনে মন্দির সহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করতে পারবেন। 

কমে যাচ্ছে করোনার প্রকোপ। ফলে ধর্মীয় সব স্থান(religious places) খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। ৭ই অক্টোবর (October 7) থেকে রাজ্য জুড়ে খুলে দেওয়া হচ্ছে ধর্মীয় স্থান। দর্শনার্থীরা সব রকম করোনা বিধি মেনে মন্দির সহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করতে পারবেন। 

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে টাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর। পুজোর স্থানগুলি নবরাত্রির প্রথম দিনে খোলা হবে। করোনা মহামারীর সম্ভাব্য তৃতীয় তরঙ্গের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ঠাকরে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন। যাতে কোভিড -১৯য়ের সবরকম বিধি মেনে চলা হয়, তার পরামর্শ দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন-  ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি পাকিস্তানের, অস্ত্র দিচ্ছে চিন, ফাঁস গোপন চুক্তি

তিনি বলেন, রাজ্যে ৭ই অক্টোবর থেকে সমস্ত ধর্মীয় স্থান খোলা হবে। মহারাষ্ট্র সরকার তৃতীয় তরঙ্গের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছে, কিন্তু সমস্ত সতর্কতার সঙ্গে রাজ্য বিভিন্ন কাজে বিধিনিষেধ শিথিল করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যদিও রাজ্যে সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে, কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কম হয়নি। তিনি আরও বলেন, যদিও প্রতিদিন কোভিড -১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের হার কমার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তবুও কোভিড প্রোটোকল সবার মেনে চলা উচিত। 

দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী বিজেপি মহারাষ্ট্রে মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মস্থান ফের  খোলার দাবি করে আসছিল। গত মাসে, বিজেপি তাদের দাবির সমর্থনে মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছে। করোনার প্রথম তরঙ্গ কমে যাওয়ার পর, গত বছর নভেম্বরে মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় উপাসনালয়গুলি খোলা হয়। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চ মাসে রাজ্যে দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হওয়ার পর সেগুলি আবার মানুষের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন- তালিবানদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, নির্লজ্জ পাকিস্তানের জেদে বাতিল সার্ক সম্মেলন

এদিকে, সম্প্রতি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশকে একটি করে ডোজ দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।  নীতি আয়োগের সদস্য তথা কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভিকে পল জানিয়েছেন করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি একটি মাইল ফলক। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি বিশেষভাবে সক্ষম ও অসুস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। 

কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানান হয়েছে ৬১ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজটি দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ২১ কোটি ৫৫ লক্ষ মানুষ। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে যাতে ১০০ কোটি মানুষকে করোনা টিকার অনন্ত একটি ডোজ দেওয়া যায় তারই ব্যবস্থা করছে সরকার।