সংক্ষিপ্ত
- মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে অ-বিজেপি নেতাদের ফোনে আড়িপাতা হচ্ছিল
- আড়ি পাতছিল বিজেপি সরকার, অভিযোগ শিবসেনার
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে একটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার সেলকে
- যদিও অভিযোগের ব্য়াপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিজেপির তরফ থেকে
মহারাষ্ট্রে যখন বিধানসভা নির্বাচন চলছিল, তখন এনসিপি, শিবসেনার মতো বিভিন্ন অ-বিজেপি নেতাদের ফোনে আড়ি পাতছিল বিজেপি সরকার। এদিন এই অভিযোগে সরব হয়ে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকার একটি তদন্তের আদেশ দিয়েছে।
শুক্রবার একটি টুইট করেন সঞ্জয় রাউত। শিবসেনা নেতা সেখানে বলেন-- "আপনার ফোন ট্য়াপ করা হচ্ছে। বিজেপির একজন প্রবীণ নেতা আমাকে একথা জানান আগে। আমি অবশ্য় তাঁকে বলি, যার ইচ্ছে আমার কথা শুনতে পারে। আমি বালাসাহেব ঠাকরের শিষ্য়। আমি গোপনে কিছু করি না।"
যদিও এই অভিযোগ ওঠার পরই ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার। জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরের ফোনেও নাকি আড়িপাতা হয়েছিল। নির্বাচন পর্ব চুকে যাওয়ার পর যখন সরকার গঠন নিয়ে বোঝাপড়া চলছিল, তখনও নাকি চলছিল এই আড়িপাতা। সূত্রের খবর, রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্র দফতর বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বৃহস্পতিবার সরাসরি অভিযোগ জানান যে, বিরোধী নেতাদের ফোনে আড়ি পেতে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ সরকার সরকারি ক্ষমতার অপব্য়বহার করেছে। মুম্বাইতে সাংবাদিকদের তিনি জানান, রাজ্য় পুলিশের সাইবার সেল বিভাগকে এই তদন্তের জন্য় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, "পূর্ববর্তী সরকার থাকার সময়ে বিরোধী নেতাদের ফোনে আড়িপাতার যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করতে মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার সেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের পর সরকার গঠন নিয়ে রীতিমতো নাটক চলে। বিজেপির থেকে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে শিবসেনা। প্রথমে কার্যত গায়ের জোরে সরকার গঠন করেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তারপর তিনি ইস্তফা দিলে কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোট বেঁধে সরকার গঠন করে। মুখ্য়মন্ত্রী হন শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে।