সংক্ষিপ্ত

বিতর্কিত পোস্টের জেরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের ব্যাপক প্রতিবাদে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে সমগ্র এলাকা।

মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব এবং মহীশূর রাজ্যের শাসনকর্তা টিপু সুলতানকে মহিমান্বিত করে বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, আর তার জেরেই হিন্দু বনাম মুসলমান মানুষদের মারপিটে উত্তাল হয়ে উঠল শিব সেনা শাসিত মহারাষ্ট্রের কোলাপুর এবং আহমেদনগর। বিতর্কিত পোস্টের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মীয় মানুষদের ব্যাপক প্রতিবাদে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে সমগ্র এলাকা।

‘ভারত কা শের, শহীদ টিপু সুলতান' (ভারতের টাইগার, শহীদ টিপু সুলতান) এই শিরোনাম দিয়ে রাজ্যের একের পর এক ইসলাম ধর্মীয় নাগরিকদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আঠারোশো শতাব্দীর মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানের ছবি পোস্ট করা হয়। তার জেরেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করার লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে আসেন শয়ে শয়ে মানুষ। এর ফলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় সমগ্র কোলাপুর এবং আহমেদনগর।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোলাপুরের কাগল এলাকার এক ২৯ বছর বয়সি বাসিন্দার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সর্ব প্রথম ওই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। পরদিন সকালের মধ্যেই বীভৎস রূপ নেয় হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্ব, হিন্দু ধর্মীয় মানুষরা সমগ্র কাগল এলাকায় বনধ করার ডাক দেন। স্থানীয় মসজিদে ঢিল ছোড়ার মতো ঘটনাও লক্ষ্য করা যায় বলে অভিযোগ, বহু এলাকার ভিন ধর্মের মানুষদের আক্রমণ করার মতো ঘটনা ঘটে। কাগল এলাকার ওই যুবককে সোমবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শহরের মুসলিম ধর্মীয় পরিষদ থেকে তাঁর বাবাকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। 

কাগলের মুসলিম জমিয়তের সদস্যরা এলাকার পুলিশ পরিদর্শক ঈশ্বর ওমাসেকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যে, কয়েকজন যুবকের পোস্ট এবং মন্তব্যের সাথে মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায় এর সঙ্গে যুক্ত নয়। ওই ২৯ বছর বয়সি যুবক এবং তাঁর ভাইকে বিতর্কিত পোস্ট বা মন্তব্য করার জন্য আগেও ইসলাম ধর্মীয়দের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানা গেছে, তা সত্ত্বেও তাঁরা বিদ্বেষমূলক পোস্ট করায় তাঁদের বাবাকে ধর্মীয় পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য বের করে দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ওই ২৯ বছর বয়সি যুবকের পাশাপাশি ফারুক আসালকার নামে কোলাপুরের এক দোকানদারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধেও ওই বিতর্কিত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।  প্রতিবাদকারীদের থামাতে গেলে হিন্দু সংগঠনের সদস্যদের সাথে পুলিশের ব্যাপক দাঙ্গা বেঁধে যায়। ওই ঘটনায় সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে আরও ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 
 


আরও পড়ুন- 
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে নন্দীগ্রামে বিজেপির মনোনয়ন জমা, প্রচারে স্লোগান ‘নো ভোট টু মমতা’
বিবাহিত নারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলা গৌরী ব্রত, এবছর মোট ৯টি ব্রতের তাৎপর্য অপরিসীম
Second Taj Mahal: স্ত্রী নয়, মায়ের স্মরণে দ্বিতীয় তাজ মহল তৈরি করালেন তামিলনাড়ুর ব্যবসায়ী