সংক্ষিপ্ত
- চিনা আগ্রাসন প্রতিহত করতে চার দেশের জোট
- দুদশক পরে চার দেশের উপস্থিতিতে মহড়া
- সামিল হয়েছে ভারতের একটি সাবমেরিন
- মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজ রয়েছে
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসী পদক্ষেপের মোকাবিলা করছে ভারত। অন্যদিকে দক্ষিণ চিন সাগরে পিপিলস লিবারেশন আর্মির রনংদেহী আচরণের সাক্ষী থাকতে হচ্ছে আমেরিকা থেকে শুরু করে জাপান, জার্মানসহ বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে শুরু হল মালাবার নৌ মহড়া। ভারত ছাড়াও এই মহড়ায় অংশগ্রহণকারী বাকি দেশগুলি হল জাপান, আমেরিকা আর অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চারটি দেশ নিয়ে গঠিত চতুর্দেশীয় অক্ষ বা স্কোয়াডের মহড়ার মূল লক্ষ্যই হল বেজিংকে বার্তা দেওয়া। আগেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এই স্কোয়াড চিনের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনে এই চারটি দেশ বঙ্গোপসাগর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা গ্রহণ করবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মালাবার নৌ মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে এক দশকেরও বেশি সময় পর এটি ছিল সব থেকে বড় নৌ মহড়া। এই এলাকায় চিনের প্রতিপক্ষ শিবির সামরিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই গোটা বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে। অক্টোবর মাসে জাপানে চার দেশের বিদেশ মন্ত্রীদের বৈঠক হয়। সেখানেই অস্ট্রেলিয়াকে মালাবার নৌ মহড়ায় সামিল করার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল। চিনা আগ্রাসন রুখতে অস্ট্রেলিয়া রাজি হয়ে গিয়েছিল। তারপর দিল্লিতে সবকিছু আলোচনা হওয়ার পরেই সূচি নির্ধারণ করা হয়। আবাধ ও উন্মুক্ত সমুদ্র বাণিজ্য পথ তৈরি করাই এই মহড়ার মূল লক্ষ্য।
১৯৯২ সালে আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মালাবার নৌ মহড়া শুরু করেছিল ভারত। ২০০৭ সালে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়া তাতে যোগ দেয়। কিন্তু পরবর্তীকালে আপত্তি জানায় চিন। তারপর থেকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নৌ মহড়া চালিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রায় দুদশক পর চারটি দেশ এই নৌ মহড়ায় অংশ নিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর খবর সাবমেরিনসহ ভারতীয় নৌবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধ জাহাজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন এস ম্যাককেইন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজ, অস্ট্রেলিয়ার বল্লারাট ফ্রিগেট ও জাপানেরও একটি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই মহড়া চলবে বলেও জানান হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধের কারণে কোনও দেশের সামরিক সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না বলেও জানান হয়েছে।