সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার মেঘালয় যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা

কংগ্রেসের ১৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মেঘালয়ের রাজনীতিতে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার মেঘালয় যাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন (Press Meet) করবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)। সেখানেই সরকারি ভাবে যোগদানের ঘোষণা হতে পারে। ৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় (Meghalaya) বিধানসভায় কংগ্রেসের (Congress) বিধায়ক সংখ্যা ১৮। NDA জোটের কাছে রয়েছে ৪০ জন বিধায়ক।

বিরোধী নেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১৮জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১২ জন মেঘালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে, রাজ্যের পার্টি ইনচার্জ মনীশ চতর্থ বৃহস্পতিবার শিলং যাবেন বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব এবং সাংমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী পৃথকভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে বিরোধী নেতা সহ ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলে যোগদানকারী ১২ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে আটজন বিধায়ক গারো পাহাড়ের, আর চারজন বিধায়ক খাসি জৈন্তিয়া পাহাড়ের। 

এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬০ সদস্যের বিধানসভা নির্বাচনে কোনো আসন না জিতলেও, তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয় হাউসে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। এদিকে, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাংমাকে হতাশ করে  সেপ্টেম্বরে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে শিলং লোকসভার সদস্য ভিনসেন্ট এইচ পালকে নিযুক্ত করা হয়। ফলে ক্ষোভ দানা বাঁধে। 

এরই মধ্যে সাংমা গত মাসে কলকাতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন। তবে পরে সাংমা একে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে অভিহিত করেছিলেন। উল্লেখ্য, ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় মোট ৪০টি আসন রয়েছে শাসক জোট এনডিএ-র হাতে। এতদিন কংগ্রেসের পক্ষে ছিল মোট ১৮টি আসন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন মুকুল সাংমা। কিন্তু, এদিন ১৮ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায়, মেঘালয় বিধানসভায় জাতীয় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ালো মাত্র ৬ জন। প্রধান বিরোধী দলের তকমাও হারালো তারা। তার জায়গায় উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। 

কেন এই দল বদল? 

এখনও মুকুল সাংমা বা অন্যান্য দলবদলুদের কাছ থেকে কিছু না জানা গেলেও, সূত্রের খবর বেশ কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন মুকুল সাংমা। পার্টিতে কোণঠাসা বোধ করছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরই এই দলবদলের ঘটনা ঘটল। তবে, মুকুল সাংমা অ্যান্ড কোং-এর সঙ্গে যোগাযোগের নেপথ্যে তৃণমূলের কোন নেতারা ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। অনেকেই মনে করছেন এটা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরই ম্যাজিক। 

গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরোকে দলে টানার পরই, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। চলতি মাসের শুরুতেই তৃণমূলের পক্ষে মুকুল সাংমা সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের লোকজন, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। এরপর সুস্মিতা দেবের (Sushmita Deb) মেঘালয় সফরে সেই সাংমার দল বদলের জল্পনা তীব্র আকার নিয়েছিল।