সংক্ষিপ্ত
- কর্ণাটকে ইস্তফা দিলেন আরও দুই বিধায়ক
- এখনও পর্যন্ত ১৬ বিধায়কের ইস্তফা
- স্পিকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন বিদ্রোহী বিধায়করা
- ঘোড় কেনাবেচা করছে বিজেপি, অভিযোগ মমতার
কর্ণাটকে আরও সংকটে কংগ্রেস- জেডিএস জোট সরকার। মুম্বইতে গিয়েও বিধায়কদের সঙ্গে দেখা না করেই ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হল কংগ্রেস নেতা শিবকুমারকে। অন্যদিকে কর্ণাটক সংকট নিয়ে এবার মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কর্ণাটকে ঘোড়া কেনাবেচা করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন- স্মৃতির থেকেই কি শিখলেন রাহুল, হারের পরেও দিনভর কাটালেন অমেঠীতে
কংগ্রেসের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়ে এ দিনও দুই কংগ্রেস বিধায়ক কর্ণাটকে পদত্যাগ করেছেন। এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে তেরোজন কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিনজন জেডিএস বিধায়ক পদত্যাগ করলেন। অন্যদিকে দিনভর মুম্বইতে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেও বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার। শেষ পর্যন্ত বিকেলেই বেঙ্গালুরুতে ফিরে গিয়েছেন তিনি। যে হোটেলে কর্ণাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা ছিলেন, সেখানে শিবকুমারকে ঢুকতেই দেয়নি পুলিশ। কংগ্রেসের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের নির্দেশেই পুলিশ শিবকুমারকে বাধা দিয়েছে।
অন্যদিকে বিধায়কদের গণইস্তফা গৃহীত হবে না বলে জানিয়েছিলেন কর্ণাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেশ কুমার। ফলে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই বিদ্রোহী বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। আবার বিজেপি-ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের উপরে চাপ বাড়িয়ে কর্ণাটকের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারে বলে খবর।
এই অবস্থায় এ দিন কর্ণাটক সংকট নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমরা জানতে পারলাম কংগ্রেস বিধায়কদের হোটেলে আটকে রাখা হয়েছে। এমন কী সংবাদমাধ্যমকেও হোটেলের কাছাকাছি ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি বিধায়ক কেনাবেচা করছে।' শেষ পর্যন্ত আর কংগ্রেসের পক্ষে কর্ণাটকের জোট সরকার টিকিয়ে রাখা সম্ভব কি না, তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান রাজনৈতিক মহল। তবে কর্ণাটক সংকটের জেরে সর্বভারতীয় স্তরে এখন একটা কথাই ঘুরে ফিরে আসেছে। অনেকেই বলছেন ফের রিসর্ট রাজনীতিতে ফিরল কর্ণাটক।