সংক্ষিপ্ত
টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মমতা। গোয়া সফরে সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন তার কিছু কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে সেই ভিডিওতে।
তিন দিনের সফরে (3 Day Tour) গোয়ায় (Goa) গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিন দিনের সফর শেষে মঙ্গলবার (Tuesday) গোয়াবাসীর ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। একটি টুইট (Tweet) করে গোয়াবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠান তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো।
টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন মমতা। গোয়া সফরে সেখানকার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন তার কিছু কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে সেই ভিডিওতে। তার ক্যাপশনে তিনি লেখেন, "গোয়া, আপনার ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ! আনন্দে পরিপূর্ণ হৃদয় নিয়ে আমার (সফরের) দিন শেষ হল। আমি কথা দিলাম, আমার রক্তের শেষ বিন্দু পর্যন্ত আপনাদের জন্য লড়াই করব। এক সঙ্গে, আমরা বিজেপির (BJP) হাত থেকে গোয়াকে বাঁচাব। এই বিপর্যয় থেকে আমরা গোয়াকে রক্ষা করব!"
আরও পড়ুন- 'ভোট এলেই মোদী ধ্যানে বসেন, গঙ্গায় ডুব দেন' - গোয়ায় ফিরল মমতার চণ্ডীপাঠ
তিন দিনের গোয়া সফরে ঠাসা কর্মসূচি ছিল মমতার। রবিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে তিনদিনের জন্য গোয়ায় পা রাখেন তিনি। সোমবার বিকেলে পানাজির কাছে সেখানকার সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে দেখা করেন। পরে বৈঠক করেন রাজ্যস্তরের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। বেনৌলিম গ্রামে একটি সভা করেন মমতা। মঙ্গলবার গোয়ায় আরও দুটি সভা করেন। দুপুরে ২টো নাগাদ আসানোরায় সভা করার পর সাড়ে তিনটে নাগাদ সভা করেন পানাজিতে। এছাড়া এই তিন দিনের মধ্যে জনসভার পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এছাড়া রাজ্যের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন। তাঁর দাবি, গোয়ায় গত তিন দশকের বিজেপি শাসনের বিরুদ্ধে এক মাত্র বিকল্প তৃণমূল এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির (এমজিপি) জোট।
আরও পড়ুন- বাড়ছে ফাটল, সোনিয়ার ডাকা বিরোধী বৈঠকে জায়গা পেল না তৃণমূল
ত্রিপুরা পুরভোটে (Tripura Municipal Election) তেমন একটা দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু, এবার ঘাসফুল শিবিরের নজর গোয়ার দিকে। ফেব্রুয়ারিতে রয়েছে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন (Goa Assembly Election)। আর তৃণমূলের জাতীয় স্তরে সংগঠন সম্প্রসারণের লড়াইয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ গোয়া। সেখানে নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি সেখানে জনসংযোগের উপরও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মমতার মুম্বই সফরের পর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। ইউপিএ (UPA) জোটকে অস্বীকার করে সমান্তরাল বিরোধী জোটের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে তারপরই শিবসেনাকে কংগ্রেসের পাশে দেখা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ইঙ্গিতও একই। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্ধু হারাতে পারেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু, তাতেও হাল ছাড়তে নারাজ মমতা। গোয়া সফরে জনসভা থেকেই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনওমতেই লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাবেন না তিনি। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত গোয়াবাসীর জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।