সংক্ষিপ্ত
সিএএ এবং এনআরসি -র বিরোধী জোট থেকে সরে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর বৈঠকে য়োগ দেবেন না। তাঁর দাবি এই নিয়ে বাম-কংগ্রেস 'নোংরা রাজনীতি' করছে। তিনি একাই সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে লড়বেন।
বিজেপি বিরোধী জোটে জোর ধাক্কা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি -র বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোট থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিলেন। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন আগামী ১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে অংশ নেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর অভিযোগ বামেরা এবং কংগ্রেস এই নিয়ে রাজ্যে 'নোংরা রাজনীতি' করছে। তাই তিনি সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে একাই লড়াই করবেন।
এদিন রাজ্য বিধানসভার এক বিশেষ অধিবেশনে তিনি বলেন, বাম-কংগ্রেসের সর্বভারতীয় অবস্থানের সঙ্গে রাজ্যে তাদের রাজনীতির মিল নেই। তাঁর দাবি তিনিই প্রথম সিএএ-এনআরসি'র বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু বিরোধিতার নামে বাম ও কংগ্রেস যা করছে তা আন্দোলন নয় ভাঙচুর। সনিয়ার বৈঠকে অংশ না নেওয়ার জন্য তিনি দিল্লির অন্যান্য বিরোধী নেতাদের তাঁকে 'ক্ষমা' করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
একই সঙ্গে মমতার দাবি, সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় বিরোধিদের এককাট্টা হওয়ার পরিকল্পনাটি তাঁরই দেওয়া। কিন্তু ৮ জানুয়ারি ভারত বনধের দিন রাজ্যে যা ঘটেছে তারপর আর তাঁর পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়।
ভারত বনধের দিন পশ্চিমবঙ্গে বিবিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাম কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। বিশেষত মালদহের সুজাপুরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে পুলিশ-কে উদ্দেশ্য করে পাথর নিক্ষেপ, বোমা মারা এমনকী পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে। তবে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওয় দেখা গিয়েছে ইউনিফর্ম পরা পুলিশই তাদের রাইফেল বাট দিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙছে।
এরপরই সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান ও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতা, লোক দেখানো আন্দোলন করার অভিযোগ এনেছেন। তাঁদের মত, দিল্লির বিজেপি নেতাদের নির্দেশেই মমতা বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরালেন।