সংক্ষিপ্ত

গুজরাটের (Gujarat) সুরাটে (Surat) এক পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার (Rape and Murder) দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড (Life Imprisonment) দিলেন বিচারক। সাজা ঘোষণা হতেই বিচারককে চটি ছুড়ে মারল আসামী। 
 

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গুরুতর, একটি পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যা (Rape and Murder)। বুধবার এই মামলায় গুজরাটের (Gujarat) সুরাট জেলা আদালত (Surat District Court) ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) সাজা দিয়েছে। সাজা শোনানোর পর দোষীরা সাধারণত ভেঙে পড়ে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ঘটল অন্যরকম ঘটনা। সাজা ঘোষণা হতেই সুরাট জেলা আদালতের ওই বিচারককে চটি ছুড়ে মারল ২৭ বছর বয়সী ওই আসামী। 

যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন বা পকসোর (POCSO) অধীনে এই মামলা করা হয়েছিল। শুনানী হয় বিশেষ পকসো আদালতে। বিচারক পিএস কালা, দোষী সুজিত সাকেত'কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন এবং নির্যাতিতার পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। সাজা ঘোষণা হওয়া মাত্র ভয়ঙ্কর রেগে গিয়ে সুজিত সাকেত, নিজের পা থেকে চটি খুলে বিচারককে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারে বলে, জানিয়েছেন আদালতে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ। চটিটি অবশ্য বিচারকের গায়ে লাগেনি, সাক্ষদানের বাক্সের কাছে গিয়ে পড়ে। সাজা ঘোষণার পরও সুজিত দাবি করেছে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুজিত সাকেত মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বাসিন্দা। গত ৩০ এপ্রিল ওই ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুন করেছিলেন। মেয়েটি ছিল এক পরিযায়ী শ্রমিকের মেয়ে। সরকার পক্ষের দাবি, মেয়েটিকে সে চকলেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করেছিল। তারপর তাকে এক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধরা পড়ার ভয়ে পরে সে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল। সুরাটের হাজিরা থানায় (Hazira Police Station), পকসোর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

সুজিত নিজেকে শেষ পর্যন্ত নির্দোষ বলে দাবি করলেও, শুনানী চলাকালীন সব সাক্ষ-প্রমাণই তার বিরুদ্ধে গিয়েছে। আদালত রায় দানের আগে সরকারের পরীক্ষিত ২৯ জন সাক্ষীর বয়ান শুনেছে। পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর পাশাপাশি আদালত এই মামলার বিষয়ে ৫৩ টি নথির প্রমাণও বিবেচনা করেছে। তারপরই এই রায় দিয়েছে।