সংক্ষিপ্ত
কোকাকোলা এবং থাম্বস আপ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক
তাই এগুলির বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক
এমনটাই চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এক তথাকথিত সমাজকর্মী
উল্টে তাঁকেই মোটা টাকা জরিমানা করা হল
কোকাকোলা এবং থাম্বস আপ বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন এক তথাকথিত সমাজকর্মী। কারণ এই সফট ড্রিঙ্কসগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। আদালত অবশ্য সেই জনস্বার্থ মামলা বাতিল করে দিল। শুধু তাই নয়, আবেদনকারীকেই মোটা টাকা জরিমানা করা হল। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কেন বিশেষ করে নির্দিষ্ট দুটি ব্র্যান্ডকে এই মামলায় নিশানা করা হয়েছে এবং তাঁর দাবির উত্স কী তা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন আবেদনকারী।
নিজেকে 'সমাজকর্মী' বলে দাবি করে এই আবেদন করেছিলেন উমাসিংহ পি চাভদা নামে এক ব্যক্তি। তিনি আদালতে পেশ করা হলফনামায় বলেছিলেন, আবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ও বিশ্বাসে একেবারে সত্যি। এই বিষয়ে অবশ্য তাঁর কোনও প্রযুক্তিগত জ্ঞান নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন।
আবেদনপত্রে চাভদা, কোকো কোলা এবং থাম্বস আপের বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি জনগণ যাতে এই পানীয় না পান করে ও ব্যবহার না করে তার জন্য জনগণকে অবহিত করে সরকার বিজ্ঞাপন দিক এমনটাও চেয়েছিলেন। সেইসঙ্গে কোকো কোলা এবং থাম্বস আপের মতো তরল বিক্রয় ও ব্যবহারের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং বৈজ্ঞানিক অনুমোদন বাধ্যতামূলক করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক আদালত এমনটাও চেয়েছিলেন। কিন্তু, আদালতে সে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। শুধু তাই নয়, কীসের ভিত্তিতে সে কোকো কোলা ও থাম্বস আপ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বলছেন তাও জানাতে পারেননি।
তাই তাঁর জনস্বার্থ মামলাটি বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে আদালত বলেছে আবেদনকারী, উমাসিংহ পি চাভদা এই আবেদনের মাধ্যমে আইন প্রক্রিয়াটির অপব্যবহার করেছেন। এই ধরণের মামলার ক্ষেত্রে আদালত একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় বলেই তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এই টাকাটা তাঁকে রেজিস্ট্রিতে জমা করতে হবে এবং পরে তা সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেটস-অন রেকর্ড অ্যাসোসিয়েশন (এসসিএওআরএ)-এ বিতরণ করা হবে।