সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অবস্থান সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে মনমোহন সিংয়ের অবদান অনস্বীকার্য। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

ভারতীয় রাজনীতিতে মনমোহন সিং একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের অবস্থান সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের গাহ এলাকায় (বর্তমানে পাকিস্তান) তাঁর জন্ম।

ছোটবেলায় মায়ের মৃত্যুতে অনাথ হন। পিতামহ-পিতামহীর কাছে তিনি লালিত-পালিত হন। ১৯৫২ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং ১৯৫৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৫৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।

মনমোহন সিং একজন প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাবিদও ছিলেন। তিনি জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (UNCTAD), দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্স এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।

১৯৫৮ সালে, মনমোহন সিং গুরশরণ কৌরকে বিয়ে করেন। তাদের তিন কন্যা। উপিন্দর সিং একজন ঐতিহাসিক এবং আশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক; দমন সিং একজন লেখিকা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ; অমৃত সিং আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের একজন আইনজীবী।

 

মনমোহন সিংয়ের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৭১ সালে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে। পরে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে, তিনি সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (UPA) সরকারের নেতৃত্বে ভারতের ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী হন।

তিনি UNCTAD-এর সচিবালয়ে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জেনেভায় অবস্থিত সাউথ কমিশনের মহাসচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। এছমাত্র তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের উপ-সভাপতি, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশনের সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

তাঁর নেতৃত্বে, ভারত গড়ে ৭.৭ শতাংশ উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এবং প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হয়। এটি ভারতকে একটি অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করতে সাহায্য করে এবং লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।