সংক্ষিপ্ত

আয়ুষ বিভাগের ওপর মন কি বাত-এর প্রভাব - জনপ্রিয়তা বাড়ছে। দেশে ও বিদেশে ভারতের প্রাচীন ওষুধের চাহিদা বাড়ছে। জনপ্রিয় হচ্ছে যোগা।

 

আয়ুষ মন্ত্রক সেন্ট্রাল কাউন্সিল ফর রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদিক সায়েন্সেস (CCRAS), জার্নাল অফ রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদিক সায়েন্সেস (JRAS) এর অফিসিয়াল রিসার্চ প্রকাশনার একটি বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করেছে। যেখানে আয়ুষ বিভাগের ওপর মন কি বাত-এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। মন কি বাত-এর ৩৭টি সংস্ককরণে আয়ূষ সেক্টর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিকে একটি মৌলিক স্তম্ভ হিসেবে গড়ে তোলার রূপোরেখা তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন কি বাত-এ আয়ূষের বিষয়ে সাতটি সম্ভাব্য ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে।

১. নীতি ও জনস্বাস্থ্য

কোভিড-১৯ মহামারির সময় আয়ূষ মন্ত্রক গুরুত্বপূর্ণ ভূমকা গ্রহণ করেছিল। সেই সময়ই চালু করা হয়েছিল আয়ুষ সঞ্জিবনী অ্যাপ। আয়োজন করা হয়েছিল গ্লোবাল আয়ুষ ইনোভেশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট। ICCR, YCB মাধ্যমে কোর্স চালু করা হয়েছিল। ভারতের প্রথাগত ওষুধগুলি তুলে ধরা হয়েছিল বিশ্বের দরবারে।

২. বিজ্ঞান ও প্রমাণ

আয়ুষের ক্ষেত্রে গবেষণা বাড়ান হয়েছে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সঙ্গেও যুক্ত করা হয়েছে ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিকে। ইন্টিগ্রেটিভ হেলথ কেয়ার মডের NIMHANS -র মাধ্যমে ওষুধগুলিকে প্রোমোট করা হচ্ছে। আয়ূষ নিয়ে গবেষণা বাড়ানো হচ্ছে। যেসব ওষুধগুলি প্রমাণ করা হয়েছে সেগুলিও বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

৩. স্বাস্থ্য শিক্ষা আর জনসচেতনা

আয়ুর্বেদকে একটি নতুন বিষয় হিসেবে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে পোস্টগ্রাজুয়েট পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। বিষয়গুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

৪. যোগা ও স্বাস্থ্যভরীতা

যোগা বা যোগ ব্যায়াম নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে গবেষণা শুরু হয়েছএ। যোগাক্লিনিকগুলির মান উন্নয়ন করা হয়েছে। প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মানও বাড়ান হয়েছে।

৫. করোনার বিরুদ্ধে লড়াই

আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে প্রায় ১৫০টি গবেষণাপত্র বেরিয়েছে। কোভিডে অশ্বগন্ধার প্রভাব নিয়েও গবেষণা করা হয়েছে। আয়ুষ সঞ্জীবনীতে ১.১৩ কোটি মানুষ যুক্ত হয়েছিলেন। করোনাকালে তার ৮০ শতাংশ মানুষ উপকৃত হয়েছিলেন। কোভিড-১৯ এর সময় ন্যাশানাল ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল চালু হয়েছিল আয়ুর্বেদ আর যোগা নিয়ে।

৬. শিল্প ও শিক্ষার মেলবন্ধন

আয়ুষ বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে শিল্প আর শিক্ষার মেলবন্ধন ঘটেঠে। আয়ুষ একটি সেক্টরে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে আয়ুষের মার্কেট ৩.৫৯৪৫ কোটি টাকার। ২০১৪-২০২০ সালের মধ্যে পণ্য উৎপাদন প্রায় ৬গুণ বেড়েছে। প্রাচার বেড়েছে প্রায় ৮ গুণ। কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষ স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে সমর্থন করেছে। মেন ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি এই পণ্যগুলির মাধ্যমে দেশে তৈরি জিনিস বিদেশের বাজারে রফতানির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মন কি বাত অনুষ্ঠানের প্রভাব দেশে আয়ুষের স্টার্টআপ হিসেবে ৫৩ হাজারেরও বেশি মাঝারি থেকে ছোট শিল্প তৈরি হয়েছে।

৭. গ্লোবালাইজেশন ও আন্তর্জাতিক মেলবন্ধন

ভারতের তৈরি আয়ুষের বাজার বর্তমানে ছড়িয়েছে আমেরিকা, জার্মানি, সুইডেনে। গোটা বিশ্বেই যোগার জনপ্রিয়তা ক্রমশই বাড়ছে।