সংক্ষিপ্ত
ছোট সাবমেরিনগুলি একসঙ্গে কমপক্ষে ছয়জনকে বহন করতে সক্ষম হবে এবং ডুবুরিরাও এতে বড় সিলিন্ডার বহন করতে পারবেন, যাতে তারা দীর্ঘ সময় ধরে জলের নিচে থাকতে পারে।
ভারতীয় নৌবাহিনী বিশ্বের অন্যতম সেরা সশস্ত্র বাহিনীর অন্যতম। ভারতের সমুদ্র সীমানা প্রতিরক্ষায় তারাই সামনের সারিতে। ইতিহাসে আশ্চর্যজনক সব সাফল্য রয়েছে আমাদের নৌসেনার। ভারতীয় নৌসেনা এখন সাগরেও জয়যাত্রা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। নৌবাহিনীর নতুন পরিকল্পনার আওতায় বিশেষ সামুদ্রিক অভিযানের জন্য MARCOS কমান্ডগুলিকে আরও মারাত্মক করা হবে। এ জন্য সাগরের নিচে ভাসমান বিশেষ ডেলিভারি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই ডেলিভারি যানগুলি দেশীয়ভাবে উন্নত এবং অনেক আধুনিক বৈশিষ্ট্যে সাজানো হবে। প্রতিবেদন অনুসারে, এগুলি সমুদ্রের রথ এবং মিডগেট সাবমেরিন নামেও পরিচিত। তথ্য অনুযায়ী, এই ছোট সাবমেরিনগুলি একসঙ্গে কমপক্ষে ছয়জনকে বহন করতে সক্ষম হবে এবং ডুবুরিরাও এতে বড় সিলিন্ডার বহন করতে পারবেন, যাতে তারা দীর্ঘ সময় ধরে জলের নিচে থাকতে পারে। এ ছাড়া এসব ডেলিভারি গাড়িতে অতিরিক্ত অস্ত্র বহনের সুবিধাও পাওয়া যাবে। জানা গিয়েছে প্রাথমিক প্রোটোটাইপ অনুমোদনের পর নৌবাহিনীর জন্য এ ধরনের কিছু ছোট সাবমেরিন কেনা যাবে।
ছোট সাবমেরিন ডিজাইনের কাজ চলছে
তথ্যমতে, নৌবাহিনী বর্তমানে এই শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের পরামর্শে ছোট ডুবোজাহাজের ডিজাইন করছে, পরে এর প্রোটোটাইপ তৈরি করা হবে। তারা অগভীর জল অপারেশন, নজরদারি এবং সামরিক অপারেশন জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে. এই ডেলিভারি যানবাহনগুলি জাহাজ বা বড় সাবমেরিন থেকেও চালু করা যেতে পারে।
এই ডেলিভারি যান খুব কার্যকর
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ছোট ডেলিভারি গাড়ি বেশ কার্যকর। এগুলো মেরিন কমান্ডোদের শত্রুর বন্দরের কাছাকাছি যেতে সাহায্য করে এবং অস্ত্র সরবরাহেও সাহায্য করে। সাধারণত বড় সাবমেরিন সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হয় না। এমন পরিস্থিতিতে এই ডেলিভারি যান নৌবাহিনীর জন্য খুবই উপযোগী প্রমাণিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ভারতের তিন সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ বাহিনীগুলির সেরা হল নৌসেনার বিশেষ বাহিনী মার্কোস বা মেরিন কমান্ডোস। ভারতীয় নৌসেনার অত্যন্ত গোপন অভিযানগুলির দায়িত্ব থাকে এই বাহিনীর উপর। নাগরিক অঞ্চলে মার্কোস সদস্যরা সাধারণত দাড়ি রেখে ছদ্মবেশ ধারণ করেন বলে, সন্ত্রাসবাদীদের কাছে তারা পরিচিত 'দাড়িওয়ালে ফৌজ' হিসাবে। পাহাড়, সমুদ্র, মরুভীমি, জঙ্গল - যে কোনও অঞ্চলে অভিযানে সক্ষম করার জন্য মার্কোস সদস্যদের কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের মাঝে বাদ পড়ে যায় ৯০ শতাংশই।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।