সংক্ষিপ্ত

নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য ২০২২-এর মধ্যে ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পরিণত করা। আর তা করতে গেলে ভারতকে ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে বৃদ্ধি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুশ গয়াল অবশ্য এইসব অঙ্কে ঢুকতে নারাজ। তিনি বলেছেন আইনস্টাইনকেও মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কারের জন্য অঙঅক করতে হয়নি।

 

দেশের অর্থনীতির যে বেহাল দশা, তা আর কোনও গোপন খবর নয়। কিন্তু, বিজেপি শাসনে কোনও কিছুই খারাপ বলা যাবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তাই লাইন দিয়ে দেশের অর্থনীতি যে ঠিক পথেই রয়েছে তা প্রমাণ করতে তৎপর। কিন্তু, তাঁরা যত মুখ খুলছেন, ততই অর্থনীতি নিয়ে দেশের মানুষের ভয় বাড়ছে। কারণ প্রত্যেক মন্তব্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা প্রমাণ করছেন অর্থনীতি নিয়ে তাঁদের কোনও সম্যক ধারণাই নেই।

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের 'ওলা-উবের' মন্তব্যের পর এইবার এই তালিকায় নবতম সংযোজন কেন্দ্রীয় রেল, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযুষ গয়াল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষ্য ২০২২-এর মধ্যে ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করা। অর্থনীতিবিদদের হিসাব অনুযায়ী সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে এখন থেকেই বছরে ১২ শতাংশ করে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে তা আটকে রয়েছে ৬ শতাংশে। এক অনুষ্ঠানে পীযুষ গয়ালকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এইসব অঙ্ক কষতে যাবেন না। মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কারেও আইনস্টাইনে অঙ্কের দরকার পড়েনি।'

তাঁর এই বক্তব্যে বেশ কিছু ভুল ভ্রান্তি রয়েছে। প্রথমত, আইনস্টাইন মাধ্যাকর্ষণ আবিশঅকার করেননি, করেছিলেন আইজ্যাক নিউটন। নিউটন কিন্তু পদার্থবিদ্যা ও অঙ্ক নিয়েই চর্চা করতেন। আর আইনস্টাইনের বিভিন্ন কাজেও যে অঙ্কের প্রচুর অবদান রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন গাড়ি শিল্পের মন্দার জন্য নতুন সহস্রাব্দে জন্মানো ভারতীয়দের ওলা উবের চড়ার অভ্যাসকে দায়ী করেছিলেন। তাই নিয়ে অনেক বিদ্রুপ হয়েছে। আইনস্টাইন, মাধ্যাকর্ষণ, অঙ্ক সব গুলিয়ে ফেলার পর স্বাভাবিকভাবেই পীযুষ গয়ালও ছাড় পাননি। তাঁকে নিয়েও শুরু হয়েছে হাসি মশকরা।