সংক্ষিপ্ত
- দিল্লির হাসপাতালে চলছে এক অভাবনীয় গবেষণা
- মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র কি ফিরিয়ে দিতে পারে রোগীর প্রাণ
- এই মন্ত্রের জোরে কি সেরে যায় মাথার আঘাত
- তিন বছরের গবেষণার শেষ পর্যায় চলছে দিল্লির হাসপাতালে
কোমায় থাকা এক রোগীর শুদ্ধিকরণের জন্য একবার বিদ্যাপীঠের এক অধ্যাপক গঙ্গাজল নিয়ে এসেছিলেন, তারপর রোগীর হয়ে মন্দিরে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করেছিলে। তববে এবার দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে রোগীকে কি আদৌ সুস্থ করে তোলা যায় কি না সেই নিয়েই চলছে বিস্তর গবেষণা।
মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়া রোগীদের কানের কাছে সুপ্রাচীন এই বৈদিক মন্ত্র পাঠ করে চিকিৎসকরা রোগীদের সুস্থ করে তোলার একটা প্রচেষ্টা চালিয়ে চলেছেন। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল এই তথ্য যে, মনে করা হয় যে প্রাচীন এই বৈদেকির মন্ত্র জপ করলে মানুষকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যায়। এই বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি যে শুধু এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারাই উৎসাহিত হচ্ছে এমনটা নয়, বরং সরকার অনুমোদিত তহবিলের সঙ্গে ক্লিনিকালেও রয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ-ও এই প্রকল্পের জন্য তহবিল অনুমোদন করেছে।
অর্থনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তিহার জেল থেকেই টুইট করে জানালেন পি চিদম্বরম
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা, প্রাণ গেল ছয় বছরের শিশুর
পক্ষীকূল বাঁচাতে অভিনব উদ্যোগ,অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে কৃত্রিম পাখির বাসা বানিয়ে তাক লাগালেন ব্য়ক্তি
এনআরসি তালিকায় নেই অসংখ্য মানুষের নাম, প্রতিবাদে আজ অসমে পালিত হচ্ছে ১২ ঘণ্টার বনধ
এই গবেষণায় বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে যে, প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে এমন ব্যক্তির কাছে গিয়ে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করা হলে রোগীর মধ্যে এর কোনও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে কি না তাই দেখা হচ্ছে।দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক অজয় চৌধুরির নেতৃত্বেই এই গোটা গবেষণাটি পরিচালনা করা হচ্ছে। অজয় চৌধুরির কথায় গত তিন বছর ধরে এই গবেষণাটি চালানো হচ্ছে, বর্তমানে গবেষণাটি একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে উপস্থিত হয়েছে। মাথায় আঘাত নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল তাদের ৪০ জনকে ২০ হিসাবে দুটি দলে ভাগ করে প্রোটোকল মেনেই চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। তাদের মধ্যে একটি দলকে নিয়ম করে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র পাঠ করে শোনানো হয়েছে। আর এই বিশেষ উদ্যোগে সংস্কৃত বিদ্যাপীঠও তাদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।