সংক্ষিপ্ত
অযোধ্যার পর উঠল মথুরার দাবি
ফেরত চাওয়া হল কৃষ্ণ জন্মভূমির পুরো ১৩.৩৭ একর জমি
দাবি উঠল শাহি ইদগা মসজিদ অপসারণের
শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলা দায়ের হল স্থানীয় আদালতে
অযোধ্যার পর এবার উঠল মথুরার দাবি। রাম জন্মভূমির পর কৃষ্ণ জন্মভূমির অধিকার চেয়ে মামলা করা হল। কৃষ্ণজন্মভূমির পুরো ১৩.৩৭ একর জমির মালিকানা ফেরত চেয়ে হিন্দু দেবতা, শ্রী কৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মথুরার এক স্থানীয় আদালতে মামলা দায়ের করা হল। সেইসঙ্গে মথুরার শ্রীকৃষ্ণ মন্দির কমপ্লেক্সের ঠিক পাশেই অবস্থিত শাহি ইদগা মসজিদটি বেআইনি দাবি করে তা অপসারণের আবেদন করা হয়েছে।
এই মামলা দায়ের করেছেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রি নামে লখনউয়ের এক বাসিন্দা। তিনি নিজেকে পরবর্তী 'কৃষ্ণসখা' বা ভগবান কৃষ্ণের 'বন্ধু', এবং ভক্ত বলে পরিচয় দিয়েছেন। মামলার আবেদনে রঞ্জন দাবি করেছেন, শাহি ইদগা মসজিদটি অবৈধ দখলদারির পর নির্মিত হয়েছিল। জমিটি আসলে শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের বলে দাবি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ট্রাস্ট মসজিদ ইদগা পরিচালনা কমিটি ১৯ ৬৮ সালের অক্টোবরে শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘের সঙ্গে একটি 'অবৈধ সমঝোতা' করেছিল। আদালত, দেবতা, এবং ভক্তদের সঙ্গে জালিয়াতি করে তারা ওই সম্পত্তি দখল করেছিল।
মজার বিষয় হল, গত বছর সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলার রায়ে উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১ এর বৈধতার মর্যাদাকে বিশেষভাবে নিশ্চিত করেছিল। সেই আইন কিন্তু, বিদ্যমান ধর্মীয় কাঠামোগুলিকে বর্তমান মামলার মতো দাবি থেকে রক্ষা করে। অযোধ্য়ায় বাবরি মসজিদ ভাঙা না হলে, সম্ভবত সেই মসজিদের জায়গাও রামলালা বিরাজমানকে দেওয়া হতো না।
প্রসঙ্গত দিন দুই আগেই মথুরায় একই দাবি নিয়ে আন্দোলন সংগঠিত করেছিল হিন্দু সেনা নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। সেই সংগঠনের নেতা-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।