সংক্ষিপ্ত

মেঘালয়ে বাজিমাত করতে চলেছে ক্ষমতাসীন এনপিপি বা ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে ম্যাট্রিজ জি নিউজ এক্সিট পোলে ম্যাজিক ফিগার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এনপিপির।

২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এই রাজ্যে ৬০টি বিধানসভা আসন রয়েছে, তবে ৫৯টি আসনেই ভোট হয়। ইউডিপি প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে মেঘালয়ের সোহেয়ং বিধানসভা আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বিকেল পাঁচটায়। এবার শুরু হয়েছে এক্সিট পোলের পালা। হিসেব নিকেশ করে চুলচেরা বিশ্লেষণে বুঝে নেওয়া কোন দল কোন রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। মেঘালয়ে কোন দল কত আসন পাবে, কি জানাচ্ছে ম্যাট্রিজ জি নিউজ এক্সিট পোল। দেখে নিন এক নজরে।

মেঘালয়ে বাজিমাত করতে চলেছে ক্ষমতাসীন এনপিপি বা ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে ম্যাট্রিজ জি নিউজ এক্সিট পোলে ম্যাজিক ফিগার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এনপিপির। ম্যাট্রিজ জি নিউজ এক্সিট পোল ২০২৩ বলছে মেঘালয় বিধানসভার ৬০টি আসনের মধ্যে এনপিপি পেতে পারে ২১ থেকে ২৬টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৬ থেকে ১১টি আসন, তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ৮ থেকে ১৩টা আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩ থেকে ছটি আসন।

অন্যদিকে অন্যান্য দল পেতে পারে ১০ থেকে ১৯টি আসন বলে জানাচ্ছে ম্যাট্রিজ জি নিউজ এক্সিট পোলের হিসেব। উল্লেখ্য, মেঘালয়ে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করলেও, এবার দলটিকে ক্ষমতাবিরোধী ঢেউয়ের মুখে পড়তে হতে পারে। পার্বত্য এলাকায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়া এবারের নির্বাচনের অন্যতম প্রধান বিষয়। দুর্নীতির আরও অভিযোগ এনপিপি সরকারকে তাড়া করছে। এ ছাড়া জয়ন্তিয়া ও খাসি পাহাড়ে অবৈধ কয়লা খনির বিষয়টিও এবারের নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।

মেঘালয় নির্বাচনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু খ্রিস্টান এবং অ-খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীর মতামত। খাসিয়া পার্বত্য এলাকায় এই বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এনপিপি উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে ইস্যু নিয়েছে। এনপিপি বলছে, সরকার পাঁচ বছরে অনেক উন্নয়ন করেছে এবং তার ভিত্তিতেই তারা ভোট চাইছে। একই সঙ্গে, এখন পর্যন্ত সরকারের অংশ থাকা বিজেপিও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত পরিকল্পনার কথা জনগণের কাছে তুলে ধরছে। মেঘালয় বিজেপির প্রধান আর্নেস্ট মাউরি বলেছেন, রাজ্যে প্রচুর খ্রিস্টান জনসংখ্যা রয়েছে। দলটি নির্বাচনে জিতলে রাজ্যে খ্রিস্টানদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেবে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যে গরুর মাংস খাওয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। এবার দেখার দোসরা মার্চ শেষ হাসি কে হাসে।